রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিপকার মন্তব্য করার জন্য বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হয়েছেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি। এরপরেই রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্যের ভিত্তিতে ক্ষমা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার ঘটনার পরেই অনুতপ্ত বোধ করছেন অখিল গিরি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, "আমার ভুলের জন্য নেত্রী ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এর জন্য আমি লজ্জিত,অনুতপ্ত, ক্ষমা প্রার্থী"।
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামের গোকুলনগর শহীদ মঞ্চের একাংশ পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় পথে নেমেছিল তৃণমূল। সেখানে প্রতিবাদ সভাও করেন কুনাল ঘোষ, শশী পাঁজারা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কে আক্রমণ করেন অখিল গিরি। একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী কে আক্রমণ করতে গিয়ে আক্রমণ করে বসেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কে। তার রূপ নিয়ে কথা বলেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক। আর এই নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
কারা মন্ত্রী দাবি করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী অখিল গিরিকে কটাক্ষ করে নাকি বলেছেন, "হাফ প্যান্ট পড়া মন্ত্রী। কাকের মতো দেখতে।" এই মন্তব্যেরই পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে অখিলগিরি বলেন, "বলে দেখতে ভালো নয়, কি রূপসী? কি দেখতে ভালো? আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ার কে আমরা সম্মান করি কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা"?
মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে অখিলগিরির মন্তব্যের প্রসঙ্গে ক্ষমা চেয়ে বলেন, "আমরা রাষ্ট্রপতিকে সন্মান করি। হাইলি রেসপেক্টেড। অখিলের এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। অখিল এটা অন্যায় করেছে। আমি কনডেম করছি। আমি এর জন্য লজ্জিত। আমি ক্ষমা চাইছি। অখিলকে দলের তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। এটা আমাদের দলের সংস্কৃতি নয়। যদি ভবিষ্যতে আবার এই ধরনের কিছু হয়, তাহলে দলের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করেই অ্যাকশন নেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতিকে আমরা সম্মান করি, রাষ্ট্রপতিকে অবমাননাকর মন্তব্য, অখিলের এই মন্তব্য করা ঠিক হয়নি, অন্যায় করেছে অখিল গিরি"।
এরপরেই এদিন অখিল গিরি বলেন, "আমার এই কথা বলার জন্য আমি দুঃখিত,মর্মাহত এবং ক্ষমাপ্রার্থী একথা বলেছি। তারপরও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অপপ্রচার করছে। আমি তো নিজেই ক্ষমা চেয়েছি। কিন্তু আমি আরও বেশি করে লজ্জিত ও অনুতপ্ত যে আমার হয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে ক্ষমা চেয়েছেন। তার জন্য আমি খুবই অনুতপ্ত ও লজ্জিত।"