বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলায় এসে ফের সিএএ নিয়ে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ। সেখানেই তিনি সিএএ প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেন যে, একবার করোনার প্রকোপ দেশ থেকে কমলেই সিএএ কার্যকর করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন যে, ‘সিএএ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস গুজব রটাচ্ছে। বলছে, বাস্তবে কোনও দিন সিএএ লাগু হবে না। আমি আজ বলে যাচ্ছি করোনা কালের পরেই কার্যকর করা হবে সিএএ। আপনি তখন কিছুই করতে পারবেন না দিদি। সিএএ নিয়ে তৃণমূল মিথ্যাচার করছে ৷ করোনা শেষ হলেই সিএএ আসবে, বলে গেলাম। অনুপ্রবেশকারী পক্ষে মমতা, শরণার্থীদের নাগরিকত্ব আমরা দেবই।’
এদিন উত্তরবঙ্গের সভার শুরুতেই বাংলার সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানান অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলা তথা উত্তরবঙ্গের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এ বারে বিধানসভা নির্বাচনে আমরা তিন বিধায়ক থেকে ৭৭ বিধায়কের অঙ্কে পৌঁছে গিয়েছি। বিজেপি আলাদা করে এ রাজ্যে ২ কোটি ২৮ লক্ষ ভোট পেয়েছে। গ্রাম বাংলার মানুষ ভোট দিয়ে বিজেপিকে মজবুত করেছেন।’
আবার এর পাশাপাশি বঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন শাহ। তিনি বলেন, ‘দিদি, যতদিন বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার বন্ধ না করবেন, বিজেপি লড়বে। আমরা মানুষের রায় মেনে নিয়েছি, ভেবেছিলাম মমতা দিদি মনে হয় এ বার শুধরে যাবেন। কিন্তু এক বছর দেখেছি, বাংলায় কোনও অত্যাচার কমেনি। কাটমানি বন্ধ হয়নি। দুর্নীতিও চলছে।’ অন্যদিকে, অমিত শাহ উত্তরবঙ্গ নিয়ে আলাদা করেও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, উত্তরবঙ্গকে অবহেলা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু উত্তরবঙ্গকে আলাদা করে প্রকৃত মর্যাদা দিয়েছে বিজেপি। তাঁর দাবি, আগামীতেও দেবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শাহের আগেই উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তুলেছেন বিজেপির মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ। সেই দাবিকেই ওই সভা থেকে পরোক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর আজ উত্তরবঙ্গ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, সিএএ ইস্যুতে অমিত শাহের মন্তব্যের পর পাল্টা জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘ওরা আমাকে কেন প্রশ্ন করছে? নিজেদের দলের লোকেদের প্রশ্ন করুক, ওনারাই তো রোজ এই ইস্যুতে সরব হচ্ছেন। এটা ওদের দলের অভ্যন্তরীন ব্য়াপার। কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলের উপর চাপাচ্ছে। আর আমি বলে দিচ্ছি, ২০২৪-এ বিজেপি ফিরবে না।’