নৃশংস কাণ্ড! এক পথ কুকুরের উপর অ্যাসিড হামলার সাক্ষী রইল বীরভূম। এমন লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছে, জেলার দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত ১৬ নং ওয়ার্ডের পাহাড়েশ্বরের কাছে আনন্দকানন এলাকায়। সেখানেই জখম অবস্থায় ওই পথ কুকুরটি প্রথম নজরে আসে এক কলেজ ছাত্রীর। তিনিই এরপর এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেন কুকুরটিকে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে অত্যন্ত জখম অবস্থায় পথ কুকুরটিকে দেখতে পান মঞ্জুষা চক্রবর্তী নামে এক কলেজ ছাত্রী। তিনি দেখেন, কুকুরটির শরীরের বেশ খানিকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। সেখান থেকে রক্তও বের হচ্ছে। খুবই মারাত্মক অবস্থা কুকুরটির। তখনই তিনি অনুমান করেন যে অবলা প্রাণীটির উপর অ্যাসিড হামলা করা হয়েছে।
এরপর ওই কলেজ ছাত্রীটি নির্বাকান্ন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নম্বর পান মঞ্জুষা। এরপর খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই একজন পশু চিকিৎসককে ঘটনাস্থলে পাঠায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। চিকিৎসক এসে কুকুরটিকে ব্যথা কমানোর জন্য একটি ইনজেকশন দেন। এরপর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে কুকুরটিকে উদ্ধার করে সিউড়ি পশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
এই প্রসঙ্গে নির্বাকান্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক সদস্য রাজর্ষি ঘোষ জানান, “আমরা খবর পেয়েই দুবরাজপুর ছুটে যাই। সেখান থেকে কুকুরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। ওর শরীরের এক দিকের প্রায় ৬০% অংশ পুড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হলেও আপাতত চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।” তিনি এই ঘটনাটিকে লজ্জাজনক বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, সিউড়ির সেই পশু হাসপাতালেই আপাতত চিকিৎসা চলছে কুকুরটির। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত তা এখনও জানা যায়নি। যদিও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে বা যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সেই বিষয়ে খোঁজ মিললেই তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।