বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মিম বানিয়ে, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার এক যুবকের বিরুদ্ধে। নদিয়ার তাহেরপুর থেকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত এই ধরনের ঘটনায় জড়িত সকলের নামের তালিকা তৈরি করেছে লালবাজার। এমনটাই জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন ও গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকদের পাশাপাশি তারাতলা থানার পুলিশকর্মীরা অভিযান চালিয়ে ৩০ বছর বয়সী তুহিন মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২৫ সেপ্টেম্বর তারাতলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। গোরাচাঁদ রোডের বাসিন্দা সাগর দাস নামে এক যুবক তাঁর অভিযোগে বেশ কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেলের নাম করেন। তিনি অভিযোগে দাবি করেন যে, ওই চ্যানেলগুলিতে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে অবমাননাকর ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ওই ভিডিওটির মাধ্যমে প্রতিহিংসা ছড়ানোর আশঙ্কাও প্রকাশ করে তিনি। অভিযোগে তিনি আরও লিখেছেন যে, এই চ্যানেলগুলিতে মুখ্যমন্ত্রীর বলা বিভিন্ন বক্তৃতাকে আর্থিক মুনাফার জন্য আপত্তিকর অবমাননাকরভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। সাগর দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে ‘টিকটকার প্রচেতা’, ‘টোটাল ফান বাংলা’, ‘রেয়া প্রিয়া’, ‘সাগরিকা বর্মণ ভ্লগস’, ‘লাইফ ইন দুর্গাপুর’, ‘দ্য ফ্রেন্ডস ক্যাম্পাস’ এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এরপরই লালবাজারের গুণ্ডাদমন শাখা, গোয়েন্দা বিভাগ এবং তারাতলা থানা একযোগে তদন্ত শুরু করে। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাহেরপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তুহিন মণ্ডল নামে ওই যুবককে। ধৃত তুহিন মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাঁর মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
তবে, এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন রোদ্দুর রায়। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও খারাপ ভাষা প্রয়োগ করেন রোদ্দুর রায়। যার জেরে চলতি বছরের ৩ জুন, রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। এরপরই তাঁকে গোয়া থেকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে, পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান।