নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহঃ আবারও অপহরণ রাজ্যে? এবার টিউশন পড়তে গিয়ে বাড়ি ফিরল না অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। আর এতেই উঠছে প্রশ্ন, তাহলে কি অপহরণ করা হয়েছে তাকে। মালদহে গত ৫ দিন ধরে নিখোঁজ। এদিকে, ছেলে বাড়ি না ফেরায়, উদ্বেগে পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, থানায় ডায়েরি করার পরেও ছেলের সন্ধান পাননি তাঁরা।
জানা গিয়েছে, মালদহের চাঁচল ১ ব্লকের মহানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা গয়া দাস। পেশায় দিনমজুর গয়া। তাঁর দুই ছেলে, বড় ছেলের দেবের বয়স ১৪ বছর। স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে সে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, গত ৮ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামে কাছেই টিউশনি পড়তে যায় দেব, কিন্তু বাড়ি ফেরেনি। ছেলে বাড়ি না ফেরায় আশেপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও, খোঁজ মেলেনি দেবের। ছেলের কাছে মোবাইল না থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছে না বাড়ির কেউ।
তাহলে কোথায় গেল দেব? গয়া দাস জানিয়েছেন, ‘বাড়িতে ওকে বকাবকি করা হয়নি। কেন এমনটা হল, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। আজ সোমবার পর্যন্ত ছেলে খোঁজ পাইনি। চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবুও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে কোনও ফোন আসেনি। কেউ যোগাযোগও করেনি।’ তাহলে কোথায় গেল ছেলে? এই ঘটনা প্রসঙ্গে চাঁচল থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে, ওই ছাত্রের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১১ আগস্ট আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় কলকাতা বাগুইআটির বাসিন্দা দুই ছাত্র। তাদের নাম অতনু দে ও অভিষেক নস্কর। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, এক কোটি টাকা মু্ক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছিল। এরপর অভিযোগ দায়ের করা হয় বাগুইআটি থানায়। ৪ জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। শেষপর্যন্ত একজনের দেহ পাওয়া যায় ন্যাজাটে, আর একজনের মিনাখাঁয়। বনগাঁ মর্গে গিয়ে জোড়া মৃতদেহ শনাক্ত করেন পরিবারের লোকেরা। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। পরে এই ঘটনায় যুক্ত মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়।
মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়. নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আপাতত এই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। ধৃতকে ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।