1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

মাধ্যমিক পাসের উপহার হিসেবে স্মার্ট ফোনের আবদার! না দিতে পারায় একি করল মেয়ে

আত্রেয়ী সেন | মলয় দে

জুন ৯, ২০২২, ১১:০৫ পিএম

মাধ্যমিক পাসের উপহার হিসেবে স্মার্ট ফোনের আবদার! না দিতে পারায় একি করল মেয়ে / প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়াঃ মাধ্যমিকে ৪৪১ নম্বর পাওয়ার পরেও নিজের জীবন শেষ করে দিল এক ছাত্রী। এবছরই মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছিল সে। কিন্তু ভালো রেজাল্ট করার পরেও প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি বাবা। কিনে দেননি স্মার্টফোন। এই সামান্য ব্যাপারেই অভিমানে আত্মঘাতী হল এক কিশোরী।

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার নদিয়ার ধানতলা থানার বহিরগাছি বিশ্বনাথপুর গ্রামে। মৃত ওই ছাত্রীর নাম কেয়া বিশ্বাস। কেয়া গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। জানা গিয়েছে, কেয়ার বাবা রামকৃষ্ণ বিশ্বাস পেশায় একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। সংসারে আর্থিক অনটন ছিলই। কিন্তু তাঁর মধ্যে মেয়ে ভালো নম্বর পেয়ে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।

কেয়া মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে তাঁর বাবার কাছে আবদার করেছিল যে, ভাল রেজাল্ট করতে পারলে, তাকে স্মার্টফোন কিনে দিতে হবে। মেয়ের সেই আবদারে বাবা রাজিও হয়েছিলেন। এরপর পড়াশোনা করে মাধ্যমিকে ভালো নম্বর পেয়ে পাশও করে কেয়া। এরপরই জোরদার হয় মেয়ের স্মার্টফোনের আবদার। এদিকে, বুধবারই সে মায়ের সঙ্গে গিয়ে কলা বিভাগে বহিরগাছি উচ্চ বিদ্যালয়েই একাদশ শ্রেণিতে ভরতিও হয়। এরপরই বাড়ি ফিরে বাবার কাছে আবদার করে, এখনই তাঁকে ফোন কিনে দিতে হবে। বাবা রামকৃষ্ণ বিশ্বাস প্রতিশ্রুতি দেন যে, দিন দশেকের মধ্যেই কিনে দেবেন। আবদার মেটাবেন মেয়ের, সেই কথাও দেন। কিন্তু বাবার কথার প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারল না মেয়ে। দশদিনের অপেক্ষা তার কাছে এতোটাই অসহ্য হয়ে দাঁড়াল যে, নিজের জীবন শেষ করে দিতে পিছপা হল না। 

জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় বাড়িতে একাই ছিল সে। সেই সুযোগেই নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। বান্ধবীরা কেয়াকে ডাকার জন্য তার বাড়িতে যায়। বারবার তারা ডাকাডাকি করেও তার কোনও সাড়া পায়নি। দরজাও ধাক্কা দেয়। এরপর প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজা ভাঙতেই উদ্ধার হয় কেয়ার ঝুলন্ত দেহ। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রতিবেশীদের কোথায় কেয়া যথেষ্ট ভালো মেয়ে ছিল। লেখাপড়াতেও ভালোই ছিল সে। তাই স্বাভাবিকভাবেই কেয়ার এই অকাল মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছেন না। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে কেয়ার মৃতদেহ রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর তাদের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়। কান্নায় ভেঙে পড়েন কেয়ার বাড়ির লোকজন, বন্ধু ও প্রতিবেশীরা। কিন্তু কেন এই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত? কেয়ার বাবা রামকৃষ্ণ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘ও আমার কাছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের আবদার করেছিল। আমি বলেছিলাম, ১০দিনের মধ্যেই আমি ফোন কিনে দেব। অথচ ও আমাকে এই সামান্য সময়টুকুও দিল না। অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের জীবনটা শেষ করল। আর আমাদের সারা জীবনের জন্য কাঁদিয়ে গেল।’

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন