বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মেয়েকে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতে দিতে একেবারেই রাজি ছিলেন না বাবা। তাই বারবার মেয়ের কথা বলায় বাধা দিচ্ছিলেন তিনি। এই বাধা দেওয়াই যে তাঁর জীবনে কাল হয়ে দাঁড়াবে তা তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। প্রেমিকার বাবার ওপর ক্রমশই রাগ বাড়তে থাকে প্রেমিকের। রাগের পরিমাণ মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে তাঁকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। অনিয়ন্ত্রিত রাগের বশবর্তী হয়ে মানুষ যে কতটা হিংস্র হয়ে উঠতে পারে তা আরও একবার প্রমাণ করল এই নৃশংস ঘটনা।
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধের পাড় এলাকা। জানা গিয়েছে, ওই এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে এলাকারই এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই তাতে বাধ সেধেছিলেন প্রেমিকার বাবা। মেয়ে কোনওভাবেই ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখুক বা তার সাথে কথা বলুক সেটা চাইতেন না তরুনীর বাবা।
তরুনীর পরিবার জানায়, রবিবার রাতেও মেয়েকে তার প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দিচ্ছিলেন বাবা শিবু চন্দ্র। একসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মেয়ের হাত থেকে ফোন কেড়ে নেন তাঁর মা। এমনকি মায়ের সঙ্গে ওই তরুনীর প্রেমিক বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েও বলে জানা গিয়েছে। তার কিছুক্ষণ পরেই ঘটে বিপত্তি।
বেশ কিছু মুহূর্ত কেটে যাওয়ার পর হঠাৎই ওই যুবক তার এক সঙ্গীকে নিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে হানা দেয়। এরপর প্রেমিকার বাবাকে লাগাতার মারধর শুরু করে। ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিবু চন্দ্রকে নিয়ে যাওয়া হয় মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্ত তরুণের বন্ধুকে আটক করে। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তাকে জেরা করেই পুরো ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ। অন্যদিকে মূল অভিযুক্ত অর্থাৎ মৃত শিবু চন্দ্রের মেয়ের প্রেমিক ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।