বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ হাওড়ার পাঁচলায় টাকা ভরতি গাড়ি-সহ পুলিশের হাতে আটক ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪৯ লক্ষ টাকা। এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস কী? কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই টাকা? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
এই মুহূর্তে রাজ্যে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পার্থ ঘনিষ্ঠ মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অর্পিতার একাধিক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা সোনার গয়না, বিদেশি মুদ্রা। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এই আবহে এই টাকা উদ্ধার হয়াকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই বিপুল পরিমাণ টাকা কি বিধায়ক কেনাবেচার জন্য? কলকাতায় বসে ঝাড়খণ্ড সরকার ফেলার বিজেপির ডিলিং হচ্ছিল না তো? তৃণমূলের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্নও উঠছে। যেমনটা মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে হয়েছিল!
গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার উৎস কী? এখনও এর কোনও উত্তর খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা। তিন বিধায়ককে জেরা করেও কোনও সদুত্তর পাননি তদন্তকারীরা। এমনকি এই টাকার কোনও নথিও দেখাতে পারেননি ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। এতো টাকা কোথা থেকে এল, তা জানতে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্ত চালাচ্ছেন, সিআইডি ও জেলা পুলিশের অফিসাররা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার তাঁরা কলকাতায় এসেছিলেন। পুলিশের কাছে ওই তিন বিধায়ক জানিয়েছেন, বড় বাজার থেকে শাড়ি কেনার জন্য টাকা নিয়ে এসেছিলেন। ওই শাড়ি আদিবাসী দিবস উপলক্ষে ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ অঞ্চলে বিলি করার কথা ছিল। এদিন তাঁরা পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমনির দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাঁদের গাড়ি আটক করা হয়। কিন্তু এতো টাকা নিয়ে মন্দারমণি কেন যাচ্ছিলেন কংগ্রেস বিধায়করা? শুধুই কি শাড়ি কেনার জন্য এতো টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? কংগ্রেসের তিন বিধায়কের বক্তব্য খতিয়ে দেখছে হাওড়া পুলিশ।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে হাওড়ার ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে কালো রঙের একটি গাড়ি আটক করে পুলিশ। গাড়িটিতে আবার ‘কংগ্রেস বিধায়ক, ঝাড়খণ্ড’ লেখা বোর্ড লাগান ছিল। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয়। ওই গাড়ি থেকে এরপর বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়। সূত্রের খবর, সারারাত ধরে সিআইডি, ইনকাম ট্যাক্স ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখ পড়তে হয়েছে তিন বিধায়ককে। তাঁদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা গোনার জন্যে মোট ৪ টি মেশিন আনা হয়েছিল।