বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মনসা পুজো চলছিল। পুজো শেষ হতেই বসেছিল মদের আসর। কিন্তু তখন পর্যন্ত কেউ জানতেন না, কী ভয়ঙ্কর বিপদ অপেক্ষা করছে তাঁদের জন্য। সেই মদই যে তাঁদের জীবন কেড়ে নেবে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি, মদের আসরে বসা যুবকেরা।
জলের বদলে ফার্মে থাকা রাসায়নিক মদে মিশিয়ে খেতেই ঘটল বিপত্তি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন যুবকের। বাকি তিনজন এই মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন হাসপাতালে। উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলাতেই বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল অনেকের। এবার সেই জেলাতেই ফের মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বারুইপুর থানার অন্তর্গত রানা এলাকায়। গুরুতর অসুস্থ তিনজনের চিকিৎসা চলছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপুরের কৃষ্ণমোহন স্টেশনের রেলগেটের কাছে রানা এলাকায় রথীন গায়েনের বাড়িতে গত রবিবার থেকে মনসা পুজো উপলক্ষ্যে মনসা গান চলছিল। মঙ্গলবারই ছিল তার শেষ দিন। সেই উপলক্ষেই রথীন গায়েনের বাড়িতে যান তাঁর ৬ জন বন্ধ। তাঁরা একটি মুরগির ঘরের পাশে বসিয়েছিল মদের আসর। এই আসরে তাঁদের জলের প্রয়োজন পরে মদ খেতে। সেই সময়ই এক যুবক মদ্যপ অবস্থায় জল আনতে যায়। তাতেই সমস্যার সূত্রপাত। জলের বোতল ভেবে ওই যুবক ফর্মালিন নিয়ে যান। আর সেটাই মদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতেই ঘটে বিপত্তি।
কিছু না বুঝেই সকলে মদের সঙ্গে তা জল ভেবে মিশিয়ে খেয়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যেকের গলায় জ্বালা শুরু হয়। এরপর ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। বাকি তিনজনও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিকে, তাঁদের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে অন্যান্যরা ছুঁতে আসেন এবং সবাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর মহাকুমা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিক, খবর পেতেই হাসপাতালে যান বারুইপুর থানার আধিকারিক তাঁর টিম নিয়ে। এদিকে বাকি তিনজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, তাঁদের চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।