বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলায় বসন্তের পরিবেশের মধ্যেই ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গরম। এখন সকাল এবং সন্ধেয় শীতের আমেজ উধাও। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমজনিত অস্বস্তিও বাড়ছে।
এদিকে, ফের একবার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত এ রাজ্যও। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এই নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এই নিম্নচাপই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও আন্দামানের কাছাকাছি এসে আরও শক্তিশালী হতে চলেছে। উল্লেখ্য, গতবার এপ্রিল মাস পর্যন্ত কোনও ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভবনা ছিল না। তবে, এবার প্রাক মরশুমেই মাঝ সমুদ্রে চোখ রাঙাচ্ছে নয়া ঘূর্ণিঝড়।
শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তা সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে, এখান থেকে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এই সুস্পষ্ট নিম্নচাপ ক্রমশ অগ্রসর হবে। এরপর রবিবারই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর ২২ মার্চ এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম অশনি। এই নামকরণ করেছে শ্রীলঙ্কা। এই ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে প্রাথমিকভাবে এগোবে। কিন্তু পরে তা বেঁকে যাবে আরও উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে। বুধবার নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড়ের বাংলাদেশ ও মায়ানমান উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করার সম্ভবনা রয়েছে।
তবে, হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি কোনও প্রভাব আমাদের রাজ্যে পড়বে না। তবে, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় অশনি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে অগ্রসর হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বাংলার উপকূলীয় জেলাগুলিতে প্রবেশ করতে পারে। এতে কিছুটা বদলাতে পারে আবহাওয়া। কাজেই সরাসরি এ রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব না পড়লেও, প্রচুর জলীয় বাষ্প দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে প্রবেশের কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে।
- TAGS
- west bengal
- cyclone
- ashani