বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গতকাল কলকাতায় ভালোই ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা প্রবেশের আগে এই বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও প্যাচপ্যাচে গরম থেকে স্বস্তি পেয়েছে মানুষ। মঙ্গলবার রাতের এই আবহাওয়ার পরিবর্তন বুধবারও বজায় থাকবে বলেই জানা গিয়েছে।
এদিকে, আজ সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। শহরের একাধিক অংশে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর জেরে তাপমাত্রারও কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে, আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের জেরে ১৬ জুনের পরিবর্ততে ১৫ জুন অর্থাৎ বুধবার বিকেল থেকেই দক্ষিণবঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ষার প্রবেশ ঘটতে চলেছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষা প্রবেশ করতে চললেও, উত্তরবঙ্গের তুলনায় দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু কিছুটা দুর্বল রয়েছে। কাজেই বৃষ্টিপাত হলেও, বর্ষা দুর্বল থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে একটু একটু করে। সপ্তাহের শেষে পশ্চিমের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।
কলকাতাতে আজও বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে যথাক্রমে ৩৫ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভিতরেই। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বাধিক পরিমাণ ৯৭ শতাংশ। তবে, শুধু কলকাতাই নয়, মঙ্গলবার বিভিন্ন জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির খবর মিলেছে। বৃষ্টি হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম, হাওড়া, হুগলিতে। এদিকে, হাওড়ায় বৃষ্টি শুরু হয় রাত ৯ টার পরে। বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলাতেও বৃষ্টি হয়েছে গতকাল। এই বৃষ্টির জেরে ভ্যাপসা গরম থেকে কিছুটা হলেও হেরাই পেয়েছে মানুষ। আসলে উত্তরবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হলেও, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা মিলছিল না। গরমের জেরে মানুষ অস্থির হয়ে উঠেছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে কালকের বৃষ্টি অনেকটাই আরাম দিয়েছে।
অন্যদিকে, আগামী ৭২ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। কয়েকটি জেলায় আবার অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও রয়েছে। এরই মধ্যেই আগামীকাল আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের কোনও কোনও অংশে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে।