বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের মূল ভূখণ্ডে ইতিমধ্যেই প্রবেশ ঘটেছে বর্ষা রানির। জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই রবিবারই কেরলের স্থল্ভাগে বর্ষার প্রবেশ ঘটেছে। কিন্তু বাংলায় কবে বর্ষার প্রবেশ ঘটবে? এই প্রশ্নই এখন রাজ্যবাসীর মনে। তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দিনে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমে নাজেহাল মানুষ। আবার সন্ধের পর হালকা বৃষ্টির দেখা মিললেও, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকছে অতিরিক্ত। এই অবস্থায় সবাই এখন বর্ষার অপেক্ষায়। এই বিষয়ে অবশ্য সামান্য হলেও ইঙ্গিত মিলেছে হাওয়া অফিস সূত্রে।
আজ সকাল থেকেই শহরের আকাশ আংশিক মেঘলা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতা শহরে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। ঝড়ের পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ- সহ বৃষ্টিও হতে পারে। কাজেই বিকেলের দিকে গরম এবং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কিছুটা হলেও কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে যে, মৌসুমী বায়ু কেরলায় প্রবেশ করায় বর্ষা প্রবেশের রাস্তা আরও সুগম হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, আগামী তিন থেকে চারদিনের মধ্যে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতেও মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করবে।
অন্যদিকে, রাজ্যে ২ জুন ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। পাশাপাশি একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে রাজস্থান থেকে উত্তর বাংলাদেশ পর্যন্ত। আবার মায়ানমার সংলগ্ন সাগরেও তৈরি হয়েছে আরও একটি নিম্নচাপ। শুধু তাই নয়, কর্নাটকে অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত।
অন্যদিকে, কলকাতাতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এদিকে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়া বদলের সম্ভবনাও রয়েছে। বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। উত্তর ও দক্ষিণ উভয় বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আজও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি- এই পাঁচ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আর মালদা এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।