বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শীতের আমেজ কমতেই শুরু হয়েছে গ্রীষ্মের দাবদাহ। গত কয়েকদিন ধরে ক্রমশই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। বাড়ছে অস্বস্তিও! আর এই ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রাই বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা। এই ঘূর্ণিঝড় হানা দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গেও। এমনটাই সতর্কতাবাণী বিভিন্ন আবহাওয়া দফতরের।
জানা গিয়েছে, মার্চ মাসের শেষের দিকেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। আগামী ২৩ মার্চের পর যে কোনও দিনই এই দুর্যোগের আবির্ভাব হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এমনকি ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারণা। যদি ঘূর্ণিঝড়-এর আগমন হয় তাহলে তার নাম হবে ‘সিত্রাং’।
বিভিন্ন রাজ্যের হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ ইন্দোনেশিয়ার বান্দা আচের কাছে ভারত মহাসাগর ও মালাক্কা প্রণালী সংযোগস্থলে একটি ঘূর্ণাবর্তের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এটি পরে শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এটি আন্দামান থেকে বঙ্গোপসাগর উপকূলের দিকে ধাবিত হতে পারে। এর ফলে আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা উপকূলেও।
একটি বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ‘ওয়েদার অফ কলকাতা’ (Weathe of Kolkata)-র কর্ণধার রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বিভিন্ন মডেলে এই ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া গেলেও এখনো পর্যন্ত জোর দিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। অর্থাৎ এত আগে থেকে ঝড়ের গতিপথ বা বেগ সম্পর্কে সঠিকভাবে আন্দাজ করে কিছু বলা সম্ভব নয়। এখন উত্তর গোলার্ধে সমুদ্রস্তরের যা তাপমাত্রা রয়েছে তা আপাতত ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির অনুকূল নয়।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সমুদ্রস্তরের তাপমাত্রার ওপরই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি ও তা স্থলভাগকে আছে পড়ার সম্ভাবনা নির্ভর করে। অনেক সময় এমনও দেখা গিয়েছে, সমুদ্রের বুকে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলেও তা উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে সমুদ্রেই বিলীন হয়ে গিয়েছে। তাই আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে সঠিক ভাবে জোর দিয়ে কিছু বলা যাচ্ছেনা। সবটাই নির্ভর করছে সময়ের উপর।