বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘অশনি’। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে পুরী থেকে ৮৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। আগের অবস্থান থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার এগিয়ে গেছে এই ঘূর্ণিঝড়।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতায় এই ঘূর্ণিঝড় অশনির খুব একটা প্রভাব পড়ার কোনও সম্ভবনা নেই। তবে, সোমবার থেকে শহর কলকাতায় হালকা বৃষ্টি হবে। বুধ ও বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে। অন্যান্য জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।
আগামী বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ১০ মে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি দিঘা, মন্দারমনির সমুদ্রতটে যাওয়া নিয়ে পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও সমস্ত ধরনের বিনোদনমূলক কার্যকলাপও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
গোপালপুর বা তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় অশনি’র আছড়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ তারিখ পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হবে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ রয়েছে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওডিশার দিকে। এরপর সেটি অভিমুখ পরিবর্তন করবে এবং উত্তর-পশ্চিম দিক ছেড়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে।
জানা গিয়েছে, সরাসরি বাংলার উপকূলে অশনি আছড়ে নাও পড়তে পারে। কিন্তু তাও এর প্রভাব ভালোই পড়তে চলেছে বাংলার উপরে। সোমবার দুপুরের পর থেকে উপকূলীয় জেলা-পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বৃষ্টি শুরু হবে। মঙ্গলবার ভোর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবার উপকূলের দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং ওড়িশা লাগোয়া জেলায় ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। তবে, এই হাওয়ার গতিবেগ নির্ভর করবে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষমতার উপর। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় সবরকমভাবে প্রস্তুত প্রশাসন, ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকে প্রচার করা হয়েছে।