এ যেন ঠিক সিনেমার কাহিনী! হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃতপ্রায় মা আর মা`য়ের শেষ ইচ্ছা পূরণে হাসপাতালে তাঁর সামনেই বিয়ে সারলেন মেয়ে। আর মেয়ে জামাইকে দু-হাত ভরে আশীর্বাদ করে নিশ্চিন্তে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কনের মা।
সিনেমার পর্দায় এমন দৃশ্য প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে? নাহ, এমনটা সচরাচর চোখে পড়ে না। তবে এটাই ঘটেছে বিহারের গয়া জেলার বালি গ্রামের বাসিন্দা চাঁদনীর জীবনে। জানা গিয়েছে, মগধ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এএনএম হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং করোনার সময় থেকে ক্রমাগত অসুস্থ ছিলেন চাঁদনীর মা পুনম ভার্মা। দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি। ক্রমে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পুনমের শেষ ইচ্ছা ছিল মেয়ে চাঁদনীর বিয়ে দেখা। তাই মায়ের ইচ্ছাপূরণে হাসপাতালেই মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার সুমিত গৌরবের সঙ্গে বিয়ে করেন চাঁদনী। আইসিইউ-তে চাঁদনীর বিয়ের সেই ভিডিও এখন ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের আইসিইউ কেবিনে কনের সাজে উপস্থিত হন চাঁদনী। সেখানেই সুমিত গৌরবের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। আর সেই দৃশ্য আনন্দে চোখের জলে ভাসেন মা।
পুনম ভার্মার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি জেনে গিয়েছিলেন যে, তিনি আর বেশিদিন বাঁচবেন না। আর তাই তিনি শেষ ইচ্ছেপূরণের কথা জানান। শেষমেশ পরিবারের কয়েকজনের উপস্থিতিতে আইসিইউ-তেই সম্পন্ন হয় চাঁদনীর বিয়ে। তবে মেয়ের বিয়ের সাক্ষী থাকার পর ২ ঘণ্টার মধ্যেই মারা যান তিনি পুনম।
এদিকে চাঁদনীর বিয়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তা চোখে জল এনে দিয়েছে নেটজনতার। মৃত্যুমুখে দাঁড়িয়েও একমাত্র মেয়ের বিয়ে দেখার জন্যই বেঁচে ছিলেন মা। আর মেয়ে মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণও করলেন! বলাই বাহুল্য, এমন ভিডিও দেখে আবেগপ্রবণ হবেন না কোন জন!