কন্যা সন্তান হওয়ায় নেন না কোন পারিশ্রমিক। যখনই তার হাসপাতালে একটি শিশুর কন্যার জন্ম হয়, তিনি কোনও ফি নেন না। গত ১১ বছরে বিনা পারিশ্রমিকে তিনি ২ হাজার ৪০০ নবজাতক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে তিনি ভ্রূণ হত্যা ও ভ্রূণ হত্যা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার কাজ করে চলেছেন। চিকিৎসকের মহানুভবতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।
জানা গিয়েছে ওই চিকিৎসকের নাম ডাঃ গণেশ রাখ। তিনি পুনেতে নিজেই একটি প্রসূতি-কাম-মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল চালান। গড়ে তুলেছেন ‘বেটি বাঁচাও জন আন্দোলন’। আর এই খবর রাতারাতি ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। তিনি দাবি করেন, গত ১১ বছরে বিনা পারিশ্রমিকে তিনি ২ হাজার ৪০০ নবজাতক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বিনিময়ে তিনি গর্ভবতী মহিলার স্বামী, পরিবার বা আত্মীয়ের কাছ থেকে একটি পয়সাও নেননি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময়, তিনি বলেন ‘২০১২ সাল থেকে তিনি কন্যা সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে বাড়ির লোকের থেকে একটি টাকাও নিই না। আজও সমাজে মেয়েদের অনেক ক্ষেত্রে হেনস্থার শিকার হতে হয়। আজও ভ্রুণ হত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে। এই সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই আমি কন্যা সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে একটি টাকাও নিই না’।
তিনি আরও বলেন, ‘২০১২ সালের আগে হাসপাতালের দেখতাম অনেক সময় এমন হতো যে মেয়ে হওয়ার কারণে লোকে লজ্জায় তাকে দেখাতেও আসত না। এই পরিস্থিতি আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছে এবং আমরা লিঙ্গ সমতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এবং সন্তানের জন্মের জন্য ফি না নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন একটি ছেলে যখন জন্ম নেয়, তখন মানুষ খুশি হয়ে হাসপাতালে এসে বিল পরিশোধ করত, মিষ্টি বিতরণ করতেন। কিন্তু কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে মানুষজনের মনোভাব ছিল একেবারেই ভিন্ন। মানুষের এই মনোভাব দেখে ‘বেটি বাঁচাও জন আন্দোলন’ শুরু হয়। আমি ১১ বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে কন্যা সন্তান প্রসব করে চলেছি”।