প্রেমে পড়লে মানুষ কী-ই না করতে পারে! যে কোনও অসম্ভবকেই যেন সম্ভব করে যায়! ভালোবাসার টানে সাতসমুদ্র তেরো নদী পার করাও আশ্চর্যের নয়৷ সাম্প্রতিক অতীতে এমন বহু উদাহরণ সামনে এসেছে এবার মুর্শিদাবাদের এক যুবককে বিয়ে করে সুদূর রাশিয়া থেকে বাংলায় ছুটে এলেন এক বিদেশিনী। বাঙালি মতে সারলেন বিয়েও। যে কাহিনী এখন রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রাশিয়ার নোবোসিবিস্কর বাসিন্দা আলেকজান্দ্রা ইভানোভা মুর্শিদাবাদের কান্দির ছাতিনাকান্দির তাঁতিপাড়ার সহস্রাংশু সিংহকে বিয়ে করতে সুদূর রাশিয়া থেকে ছুটে আসেন। বৃহস্পতিবার রাতে রাশিয়ার ওই যুবতীর সঙ্গে মুর্শিদাবাদের যুবকের বিবাহ হয়। ওই যুবতীকে একেবারে বাঙালি কনের সাজে সাজানো হয়। তারপর বাঙালি মতে মন্ত্র পাঠ করে মালা বদল, সিঁদুর দান হয়।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের সহস্রাংশ সিংহ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতেন। সেই সময় ২০১৬ সালে তিনি রাশিয়ার মস্কো গিয়েছিলেন তার অন্য এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানেই তার পরিচয় হয় আলেকজান্দ্রা ইভানোভার সঙ্গে। তারপর তাদের পরিচয় ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। সম্পর্ক গভীর হলে তারা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। অবশেষে বৃহস্পতিবার তাদের দুজনের স্বপ্নপূরণ হল।
সহস্রাংশর আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিদেশী মহিলাদের বিয়ে করতে গিয়ে অনেকেই বাংলা সংস্কৃতি ভুলে যান। কিন্তু এক্ষেত্রে সহস্রাংশ যা করে দেখালেন তা সত্যিই নজিরবিহীন।
এই বিয়ে নিয়ে যেমন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আলাদা কৌতূহল ছিল সেই রকমই ছিল আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়। সহস্রাংশ-আলেকজান্দ্রার এমন পদক্ষেপ দেখে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য আত্মীয়-স্বজনরা দু-হাত ভরে আশীর্বাদও করেছেন।