পুনের ব্যস্ত অঞ্চলে ছোটখাটো এক রেস্তোরাঁ। রেস্তোরাঁ সামলাচ্ছেন ছয় কর্মী। কেউ ম্যানেজারের ভূমিকায়, কেউ বা রাঁধুনির কাজ করছেন, কেউ পরিবেশন করছেন খাবার, কেউ সমস্ত খুঁটিনাটি একা হাতে সামাল দিচ্ছেন। তবে এঁদের মধ্যে মিল একটা জায়গাতেই; এঁরা সকলেই বিশেষভাবে সক্ষম।
সুসজ্জিত এই রেস্তরাঁটি যেমন সুন্দর ভাবে সাজানো তেমনই মনোরম এর পরিবেশ। বাক ও শ্রবণ সংক্রান্ত প্রতিবন্ধী কর্মী হিসাবে নিয়োগ করেছে টেরাসিন নামে একটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুনে ফুডিজ নামে ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে শেয়ার করা হয়েছে এই রেস্তোরাঁর ভিডিও। ভিডিও’র শুরুতেই দেখা যায়, এক মহিলা রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করেন, মেনু কার্ড দেখে তাঁর পছন্দের খাবার তিনি অর্ডার করেন। খাবার অর্ডার করতে বিশেষ সাংকেতিক চিহ্নকে কাজে লাগান তিনি।
সাংকেতিক ভাষার মাধ্যমে খাবার অর্ডার করতে দেখা যায় আরও এক গ্রাহক কে। মেনু কার্ডে প্রতিটি খাবারের আইটেমের পাশে সাংকেতিক চিহ্ন-এর স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। যাতে গ্রাহক সহজেই অর্ডার করতে পারেন। ক্লিপে দেখা যায়, একজন কর্মচারী খাবার পরিবেশন করেন এবং মহিলাকে তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করেন। মহিলাও সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে বুঝিয়ে দেন যে খাবারের গুণমান খুবই ভাল।
দেশের মধ্যে এটিই প্রথম রেস্তোরাঁ যারা বিশেষ ভাবে সক্ষম কর্মীদের কাজের সুযোগ সামনে এনেছে। এছাড়াও এই রেস্তোরাঁটি ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালিটি কাউন্সিল কর্তৃক বিশেষ সম্মান ও জিতেছে। সারা দেশে বেশ কিছু রেস্তোরাঁ বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে-মেয়েদের শিল্পে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষজন এমন উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
পুনের এই রেস্তোরাঁ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছে। আর সেই রেস্তোরাঁর, বিশেষ ভাবে সক্ষম কর্মীদের একটি ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষজন এই ভিডিও ক্লিপটি দেখে আবেগে ভেসে গিয়েছেন। অনেকেই এই রেস্তোরাঁয় গিয়ে একবার খাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। ভাইরাল এই ভিডিও ক্লিপটি এখন পর্যন্ত প্রায় সাত লক্ষের বেশি মানুষ দেখেছেন। সেই সঙ্গে অজস্র কমেন্ট ও হাজার হাজার লাইকে ভরে গিয়েছে এই ভিডিও।