হেসেখেলে রোজ ৮০ থেকে ৯০ কিলো দুধের চা বিক্রি হয়। প্রতিদিন ২০০০ টাকার বেশি রোজগার করে থাকেন দোকানের মালিক। বহু ব্যবসায়ীকেই দেখা যায় দোকানের নাম সুন্দর রেখে খরিদ্দারদের আকৃষ্ট করেন, তবে এই আজব চায়ের দোকানের মালিক তার দোকানের নাম আজব রেখে খরিদ্দারদের আকৃষ্ট করছেন। এই দোকানের নাম ‘ফালতু চায়ের দোকান’।
আজব নামের এই চায়ের দোকানটি রয়েছে বীরভূমের বীরচন্দ্রপুরে। তীর্থক্ষেত্রের অন্যতম জায়গা হিসাবে এখন বীরচন্দ্রপুর মানচিত্রে নাম তুলে ফেলেছে, আবার সেখানেই প্রতিদিন আসা পর্যটকদের টানে এই চায়ের দোকান। ধর্মীয় স্থানে এই চায়ের দোকানের বিপদতারণ দাসকে দেখেও একজন ধার্মিক মানুষই মনে হয়। কপালে তিলক, গলায় মালা আর সাদা জামা পরে তাকে চা বিক্রি করতে দেখা যায়।
এই চায়ের দোকানটির আজব নামের কারণেই যে সেখানে খরিদ্দাররা চা খেতে আসেন এমন নয়। এখানকার চায়ের টেস্ট প্রতিদিন হাজার হাজার চাপ্রেমীদের টেনে নিয়ে আসে। ফালতু চায়ের দোকানের চা খেতে কেমন? চায়ের স্বাদ সম্পর্কে দোকানে আসা খরিদ্দারদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘চায়ের দোকানের নাম ফালতু চায়ের দোকান হলেও স্বাদে অতুলনীয়।’ যে কারণেই ওই দোকানের মালিক কথায় কথায় বলে থাকেন, তার দোকানে চা খেলে নেশা লেগে যাবে।
ফালতু চায়ের দোকানের চা বানানো হয়ে থাকে মাটির হাঁড়িতে। মাটির হাঁড়িতে চা বানানো সচরাচর সেই ভাবে কোথাও দেখা যায় না। বিপদতারণ সাহা দাবি করেন, তিনি এই এলাকায় প্রথম মাটির হাঁড়িতে চা তৈরি করে দেখিয়েছেন। মাটির হাড়িতে চা তৈরির ফলে আলাদা স্বাদ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এমনকি তিনি এটাও জানিয়েছেন, এখন তার এই পদ্ধতিতে চা তৈরি করা দেখে অন্যান্য যে সকল চায়ের দোকান রয়েছে তারাও মাটির হাঁড়িতে চা বানাচ্ছেন। আর এইসব দেখেই তিনি নিজের দোকানের নাম রেখে দিয়েছেন ফালতু চায়ের দোকান। তিনি মাটির হাঁড়িতে চা বানানোর পাশাপাশি শীতের সময় নলেন গুড়ের চা বানিয়ে থাকেন।