সম্প্রতি আসামে গড়ে উঠেছে নতুন এক চায়ের স্টল। দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ চায়ের স্টলের মতোই। ছোটখাটো, ছিমছাম সাজানো গোছানো। কিন্তু এই নয়া চায়ের স্টলটির বিশেষত্ব কিন্তু অন্য জায়গায়। এখানে যাঁরা কাজ করেন, সেই সকল স্টাফই ট্রান্সজেন্ডার অর্থাৎ রূপান্তরকামী। আর তাঁদের নিয়ে এমন অভিনব চায়ের স্টল খুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছে আসামের একটি সংস্থা।
ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে চায়ের স্টল, আসামে এই প্রথম! সম্প্রতি All Assam Transgender Association নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে সেই রাজ্যে খোলা হয়েছে চায়ের স্টলটি, যার নাম Trans Tea Stall। সংস্থাটি বহুদিন ধরেই ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে কাজ করে চলেছে। কীভাবে সমাজে এই মানুষগুলিকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় বা তারা যাতে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারেন কীভাবে সেই ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে প্রতিনিয়তই ভেবে চলেছেন সংস্থার কর্মীরা। আর সেই ভাবনা থেকেই আজ গড়ে উঠল Trans Tea Stall।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন রীতিমতো ভাইরাল সেই চায়ের স্টল। All Assam Transgender Association এর ফাউন্ডার স্বাতী বিধান বড়ুয়ার থেকে জানা যায়, তিনি নিজের জমানো প্রায় ৭০,০০০ টাকা দিয়ে এই চায়ের স্টল চালু করেন। প্রথমে একটু চিন্তা থাকলেও চায়ের স্টলটি খোলার পর থেকেই ভালো সাড়া মিলেছে। নিত্যদিনই লেগে রয়েছে ভীড়। আর ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে এমন একটি মহান উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নেটিজেনরাও সংস্থাটিকে কুর্নিশ জানিয়েছে।
সাধারণত, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়েও সমাজের প্রায় সকলেই ট্রান্সজেন্ডারদের একটু ভিন্ন নজরে দেখেন। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় চাকরি বা কাজের ক্ষেত্রে তারা প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন। ফলে তাদের আত্মবিশ্বাসেও ভাঙন ধরে। এই অবস্থা থেকেই রূপান্তরকামী মানুষগুলিকে বের করে তাদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে All Assam Transgender Association। খুঁজে দিয়েছে তাদের উপার্জনের রাস্তা। সংস্থার এই মানবিক উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।