বমি ও পেটে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে আসেন এক ব্যক্তি। একাধিক ওষুধ প্রয়োগের পরও ব্যথা নিরাময় না হওয়ার চিকিৎসকরা বছর ৫৮ এর রোগীর আলট্রাসোনোগ্রাফি করার সিদ্ধান্ত নেন। আর রিপোর্ট দেখেই চোখ কপালে চিকিৎসকদের।
ব্যক্তির পেটের ভিতর রয়েছে কয়েনের ভাণ্ডার। একটা দুটো নয়। ১৮৭ টি কয়েন। জরুরি ভিত্তিতে এরপর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের মাধ্যেমে একে একে বের করে আনা হয় সবকটি কয়েন। এমন কাণ্ডে ভিরমি খাচ্ছেন খোদ চিকিৎসকরাই।
শ্রী কুমারেশ্বর হাসপাতাল এবং রিসার্চ ইন্সটিটিউটের এই ঘটনা এখন তুমুল ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। চিকিৎসকরা জানান, অপারেশন করতে মোট ২ ঘন্টার কাছাকাছি সময় লাগে। রোগী মোট ১৮৭টি কয়েন গিলেছেন। ৫ টাকার কয়েন ৫৬টি, ২ টাকার ৫১টি এবং ১টাকার ৮০টি কয়েন তার পেট থেকে সফলভাবে বের করেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, এই ব্যক্তি সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত। ৫৮ বছর বয়সী এই ব্যক্তির নাম দায়মাপ্পা হরিজন। তিনি কর্ণাটকের রায়চুর জেলার লিঙ্গসুগুরের বাসিন্দা। রোগীর উপসর্গের ভিত্তিতে এক্স-রে এবং এন্ডোস্কোপি করা হয়। রোগীর পেটের স্ক্যানে দেখা গেছে তার পেটে রয়েছে একাধিক কয়েন। এরপর তার অপারেশন করার সিদ্ধান্ত হয়।
দয়ামাপ্পা বলেন, তিনি পেশায় একজন ভিক্ষুক এবং যখনই তিনি কয়েন হাতে পেতেন তখনই তিনি সেগুলি গিলে ফেলতেন এবং জল খেয়ে নিতেন। এই কাজটি করে তিনি আনন্দ পেতেন বলেও জানান। তিনি অনুভব করেছিলেন যে কয়েনগুলি পেটে গিয়ে খাবারের মতো হজম হবে। গত দুই-তিন মাস ধরে এভাবেই কয়েন গিলে খাচ্ছিলেন তিনি। তাতেই এই কাণ্ড!