সময়টা খুব বেসি নয়! মাত্র ৮ মাস। আর এই আট মাসেই ৪৬ কেজি ওজন কমিয়ে নজির গড়লেন দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) এক উচ্চ পদাধিকারী কর্তা। সাধারণত, পুলিশবাহিনীর ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কথাই নয়! কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের দেশে নাদুসনুদুস চেহারার বহু পুলিশ দেখা যায়। তিনিও ছিলেন তেমনই একজন! ওজন ছিল প্রায় ১৩০ কেজি! কিন্তু আট মাসে মধ্যে সেই ওজন কমিয়ে তিনি এখন চূড়ান্ত `ফিট! তাঁর কাহিনী যে কাউকেই অনুপ্রেরণা যোগাতে বাধ্য!
দিল্লি পুলিশের সেই উচ্চ পদাধিকারী কর্তার নাম জিতেন্দ্র মানি। আদতে তিনি এক ডেপুটি কমিশনার। কিন্তু তাঁর ফিটনেস বলতে কিছুই ছিল না৷ ওবেসিটি এসে গ্রাস করেছিল তাঁকে। আর সেই মানুষটাই আজ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ৮ মাসে ৪৬ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন।
জানা গিয়েছে, ওবেসিটির কারণে দিল্লি পুলিশের এই ডেপুটি কমিশনারের শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগও৷ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মতো একাধিক অসুস্থতা গ্রাস করে তাঁকে। এমনকি ওবেসিটির কারণে তাঁর ওজন বাড়তে বাড়তে ১৩০ কেজিতে পৌঁছে গিয়েছিল৷ ফলে শরীরের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছিল। সেই সঙ্গে আশেপাশের লোকজনও নানা কটূক্তি করতে ছাড়তেন না।
এই পরিস্থিতিতেই নিজের ওজন কমানোর প্রতিজ্ঞা নেন পুলিশ অফিসার জিতেন্দ্র মানি।জীবনযাত্রায় বদল আনতে রোজ ১৫০০ পা হাঁটা ও পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া শুরু করেন। এক সাক্ষাৎকারে জিতেন্দ্র বলেন, “উচ্চ কার্বহাইড্রেটযুক্ত ভাত-রুটি খাওয়া ছেড়ে দিয়ে আমি পুষ্টিকর স্যুপ, স্যালাড, ফল খেতে শুরু করি।”
অনেকেই এমন শুরু করেন অবশ্য। তারপর মাঝপথে পথ হারান। জিতেন্দ্র কিন্তু হাল ছাড়েননি। ফলে ৮ মাসে ১২ ইঞ্চি কোমরের মেদ ঝরিয়ে ফেলেন। কমিয়ে ফেলেন কোলেস্টেরলের মাত্রাও। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জিতেন্দ্র বলেন, “শুরুতে একটা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিলাম। ঠিক করে প্রতি মাসে সাড়ে পাঁচ লক্ষ পা হাঁটব। গত আট মাসে আমি ৩২ লক্ষ পা হেঁটেছি।” এভাবেই তিনি বর্তমানে ৮৪ কেজির ফিট পুলিশ আধিকারিক।