বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বসেছে বিয়ের আসর। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ভরে উঠেছে বিয়ের মন্ডপ। শুরু হয়ে গিয়েছে সাত পাকে ঘোরার অনুষ্ঠানও। কিন্তু দু’পাক ঘোরার পর আচমকাই মত বদলালেন কনে। একেবারে বিয়ের মন্ডপ ছেড়েই বেরিয়ে গেলেন। সকলকে জানিয়ে গেলেন, পাত্র বদলে গিয়েছে। যার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁকে তাঁর মোটেও পছন্দ নয়। কারণ তাঁর গায়ের রং যে বড্ড কালো! তাই মাঝপথেই বিয়ে ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিলেন কনে।
গত বৃহস্পতিবার রবি যাদব এবং মিতা যাদবের বিবাহ বাসর বসেছিল উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ার ভারথানায়। সুসম্পন্ন হয়েছিল মালাবদল পর্ব। কিন্তু সাত পাকে বাঁধা অনুষ্ঠান শুরুর আগেই বেঁকে বসেন পাত্রী। এই বিয়ে তিনি একেবারেই করবেন না। সোজা বিয়ের মন্ডপ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। দীর্ঘ ৬ ঘন্টা ধরে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন কনের বাড়ির লোকেরা। কিন্তু কনের জেদ দমানো কার সাধ্যি! অতএব বাধ্য হয়ে বিয়ের আসর ছেড়ে চলে যান বরপক্ষ। বন্ধ হয় বিয়ে।
কিন্তু হঠাৎ কেনই বা মাঝপথে বিয়ে ভাঙলেন মিতা? তিনি জানিয়েছেন, যখন বিয়ের কথাবার্তা চলছিল তখন পাত্র হিসেবে অন্য আর একজনকে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের আসরে উপস্থিত পাত্র বদলে যায়। যে ব্যক্তি বর সেজে এসেছিলেন তাঁর গায়ের রং বেজায় কালো। এমন পাত্র মিতার না পসন্দ। তাই দু’পাক ঘোরার পরই বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মিতা যাদব।
অন্যদিকে আবার মিতা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন পাত্র ও তাঁর পরিবার। তাঁরা দাবি করেন, বিয়ের আগে মিতাকে বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না দেওয়া হয়েছিল যা বিয়ে ভেঙে দেওয়ার পরেও ফেরত দেওয়া হয়নি। এভাবে আচমকা বিয়ে ভেঙে দেওয়ায় সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন না তাঁরা। এহেন প্রতারণার বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে উত্তরপ্রদেশের যাদব পরিবার।