বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ও এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক হল, ভারতীয় রেল (Indian Railways)। প্রতিদিন দেশের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের কাছে সফরের অন্যতম ভরসা এই রেলপথ। অত্যন্ত অল্প খরচে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষেত্রে রেলপথের বিকল্প নেই। ফলে দেশের অধিকাংশ মানুষই রেলের মাধ্যমে গন্তব্যস্থানে যাতায়াতে আগ্রহী।
যারা নিত্যদিন রেলপথে যাতায়াত করেন তারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে ট্রেনের বেশ কিছু কোচ বা বগির গায়ে নানান ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন থাকে। অনেকেই এই সকল সাংকেতিক চিহ্নগুলির কারণ জানেন। যারা জানেন না, তাদের সুবিধার্থে জানাই এই সকল সাংকেতিক চিহ্ন লোকো পাইলটদের ট্রেন চালাতে যাতে সুবিধা হয় সেই উদ্দেশ্যে দেওয়া থাকে৷
এবার অনেকেই হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন ট্রেনের শেষ বগিটির পিছনে লেখা থাকে X চিহ্নটি। অনেকের মনেই তখন প্রশ্ন ওঠে কেন রয়েছে এই চিহ্ন? এর কি কোনও আলাদা তাৎপর্য রয়েছে? কী রহস্য লুকিয়ে এর পিছনে? আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নেব তা-ই!
ট্রেনের শেষ বগিতে X লেখার অর্থ সাধারণত একটাই। এই বগিটিই যে ট্রেনের শেষ বগি তা বোঝাতে এই চিহ্ন আঁকা থাকে। ট্রেনের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেi শেষ বগিতে সাদা-হলুদ রঙে এই এক্স লেখা থাকে। এই এক্স লেখা চিহ্নটি দেখতে পেলে স্টেশন মাস্টারের বুঝতে সুবিধা হয় যে পুরো ট্রেনটি চলে গিয়েছে কিনা। পাশাপাশি যাত্রীরাও বুঝতে পারেন যে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
স্টেশন মাস্টার যদি ট্রেনের পিছনের এই X চিহ্নটি না দেখতে পান তখন তিনি বুঝতে পারেন যে পুরো ট্রেনটি এখনও প্ল্যাটফর্মে ঢোকেনি। এর পিছনের কোচগুলির এখনও আসা বাকি। যখন সম্পূর্ণ কোচ দেখতে পাওয়া যায় না, তখন সেই হারিয়ে যাওয়া কোচের তথ্য বেতার বার্তার মাধ্যমে নেওয়া হয়। এছাড়া যে কোচগুলি এগিয়ে গিয়েছে তাদেরও তখন থামার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
X চিহ্ন ছাড়াও দূরপাল্লার ট্রেনের পিছনে থাকে আরেকটি জিনিস। সেটি হল ব্লিঙ্ক লাইট। এটি থাকার কারণ যাতে রাতের আঁধারে বা কুয়াশায় বুঝতে অসুবিধা না হয়। অন্ধকারে বা কুয়াশার মধ্যে ব্লিঙ্ক লাইট সেটি জ্বলতে ও নিভতে দেখা যায়। ফলে বোঝা যায় যে ট্রেন সামনে এগিয়ে চলেছে।