বিগত দু-তিনটে বছর ব্যাটে তেমন রান আসছিল না। সকলেই ভেবেছিলেন এবার হয়তো তিনি ফুরিয়ে এসেছে। তবে নিন্দুকদের মিথ্যে প্রমাণ করে গত বছরের এশিয়া কাপ থেকেই ফের নিজের ছন্দে ফেরা শুরু বিরাট কোহলির। এশিয়া কাপের পর টি-২০ বিশ্বকাপের ভারতীয় দলের সেরা স্কোরার ছিলেন তিনি। পাশাপাশি এই কয়েক মাসে দু-দু`টি সেঞ্চুরিও হাঁকিয়ে ফেলেছিলেন কোহলি। এবার নতুন বছরের শুরুটাও করলেন দাপটের সঙ্গে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে প্রথম ম্যাচেই তিনি হাঁকালেন দুরন্ত এক শতরান। সেই সঙ্গে ছুঁয়ে ফেললেন কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকরকেও।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরানের পর এবার গুয়াহাটি। পর পর দু’টি এক দিনের ম্যাচে সেঞ্চুরির ইনিংস বিরাট কোহলির। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭৩তম শতরানও করে ফেললেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বুধবার ৮০ বলে সেঞ্চুরি করলেন বিরাট। যদিও এই ইনিংসে দু’বার তাঁর সহজ ক্যাচ ফেলল শ্রীলঙ্কা। বিরাটের ক্যাচ ফেলা যে কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তা দেখলেন দাসুন শানাকারা। বিরাটের ইনিংস শেষ হয় ৮৭ বলে ১১৩ রান করে।
এদিন আরও একটা মাইলস্টনে পৌঁছে গেলেন ভারতীয় দলের এই টপ অর্ডার ব্যাটার। দেশের মাটিতে একদিনের ক্রিকেটে স্পর্শ করলেন শচীন তেন্ডুলকারের রেকর্ড। দেশের মাঠে শচীনের সেঞ্চুরির সংখ্যা ২০। মঙ্গলবার গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করার সঙ্গে সঙ্গে শচীনের সঙ্গে একই তালিকায় নাম লেখালেন। ইনিংসের ৪৭তম ওভারে রাজিথার প্রথম দুটি বলে যথাক্রমে ৪ ও ১ রান নিয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছন কোহলি। শেষ পর্যন্ত ৮৭ বলে ১১৩ রান করে রাজিথার বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে আউট হন।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে দেশের মাটিতে কোহলির সেঞ্চুরি সংখ্যা ছিল ১৯। ১০১টি একদিনের ম্যাচে তিনি এই সংখ্যায় পৌঁছেছিলেন। ১০২ ম্যাচ খেলে তিনি দেশের মাটিতে ২০টি সেঞ্চুরি করে ফেললেন। শচীন এই মাইলস্টনে পৌঁছতে খেলেছিলেন ১৬৪টি একদিনের ম্যাচ। অর্থাৎ বিশ্ব ক্রিকেটে ঘরের মাঠে সব থেকে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন যুগ্মভাবে শচীন ও কোহলির দখলে।
বুধবার ৮৭ বলে ১১৩ রান করেন বিরাট। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি চার একটি ছক্কা দিয়ে। বিরাটের স্ট্রাইক রেট ১২৯.৮৮। বিরাট ছাড়াও এই ম্যাচে রান পেয়েছেন রোহিত শর্মা (৮৩) এবং শুভমন গিল (৭০)। লোকেশ রাহুল ২৯ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তাঁদের দাপটে ভারত ৩৭৩ রান তোলে। জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৩৭৪ রান।