‘বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সরে দাঁড়ালাম’! রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হচ্ছেন? তৃণমূল ছেড়ে কীসের ইঙ্গিত যশবন্তের?
বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সামনেই রয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। কেন্দ্র এবং বিরোধী দলগুলি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাই করতে শুরু করে দিয়েছে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে অ-বিজপি নেতৃত্বদের একজোট করার বড় দায়িত্ব নিজের তুলে নিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উদ্দেশ্যেই তিনি এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের একজোট করতে বৈঠক ডেকেছিলেন।
তবে, এখনও পর্যন্ত বিরোধীরা কোনও প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছেন না। যাঁদের প্রার্থী হিসেবে পছন্দ করা হয়েছিল, তারাও এক এক করে সরে দাঁড়াচ্ছেন। আগেই শরদ পাওয়ার না করে দিয়েছেন। আবার অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং ফারুক আবদুল্লার নাম প্রস্তাব করা হলেও, ফারুক আবদুল্লা ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তবে, তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না বলেই জানিয়েছেন। গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও অরাজি বলেই জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আজ ফের শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বে বৈঠক রয়েছে। এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত না থাকলেও, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার কথা। তবে সবাই একে একে না করলেও, রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব ফেরালেন না তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সহ- সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ যশবন্ত সিনহা।
উল্টে তিনি টুইট করে বৃহত্তর স্বার্থে কাজের বার্তা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন। উল্লেখ্য, সদ্যই বিরোধীদের পক্ষ থেকে তাঁকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করার জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে, এই আবহে মঙ্গলবার সকালে টুইট করে পরোক্ষে বুঝিয়ে দিলেন যে, রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। বরং বৃহত্তর স্বার্থে তিনি কাজ করতে আগ্রহী বলেই জানিয়েছেন। সেই কারণেই তাঁর দলত্যাগ। উল্লেখ্য, সম্ভবত আজকের বৈঠকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবির থেকে প্রার্থী নাম চূড়ান্ত করা হবে।
এদিন টুইটে যশবন্ত সিনহা লিখেছেন, ‘তৃণমূলে মমতাজি আমাকে যে সম্মান ও প্রতিপত্তি দিয়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এখন একটা সময় এসেছে যখন বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে আমাকে দল থেকে সরে এসে বৃহত্তর বিরোধী ঐক্যের জন্য কাজ করতে হবে। আমি নিশ্চিত তিনিও আমার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবেন।’ যশবন্ত সিনহা ২০১৮ সালে বিজেপি ছেড়েছিলেন। এরপর গত বছরেই তিনি তৃণমূলে যোগ দেন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করেন।
প্রসঙ্গত আজ দুপুরে দিল্লিতে সংসদ ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে বিরোধী দলের বৈঠক বসতে চলেছে। কিন্তু তার আগে শরদ পওয়ারের বাসভবনে প্রাথমিক পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। এদিকে, আজ সকালেই পাওয়ারের বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন সিপিএম ও সিপিআইয়ের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করে আলোচনাও করেন তাঁরা। সেই বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গেও। আগেই ঠিক হয়েছে, সর্বসম্মতি ক্রমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।