বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবার তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে লড়াই করবেন বাবুল সুপ্রিয়। এই আসনে একুশের নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি জিতে মমতার মন্ত্রীসভায় মন্ত্রীও হন। কিন্তু এরপর প্রয়াত হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এবার সেই আসনেই লড়বেন বাবুল সুপ্রিয়। পাশাপাশি তাঁর পুরোনো লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। আজ এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন বাবুল সুপ্রিয়। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে, বিজেপির সমালোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে মুখ খুললেন।
এবার বাবুল সুপ্রিয়র নিশানায় রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রাক্তন সহকর্মীকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘উনি মিথ্যে কথা বলেন। ফের খড়গপুরে জিতে দেখাক তখন কথা বলব। আমি আসানসোলে যেভাবে রাস্তায় মানুষের ভালোবাসা নিয়ে হাঁটতাম, উনি খড়গপুরে ওরকম এক কিলোমিটার হেঁটে দেখান চ্যালেঞ্জ রইল।’
পাশাপাশি বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন মন্ত্রীর কথায়, ‘দিলীপ ঘোষ একজন এন্টারটেইনমেন্ট ফ্যাক্টর। উনি রোজ সকালে হাঁটতে যান, আর আপনারা পিছনে যান। দিলীপ ঘোষকে নিয়ে কিছু বলতে আমার রুচিতে বাঁধে। কিছু একটা বলেন, আর খোরাক হন। আর আপনারাও সারা দিন তা নিয়ে পড়ে থাকেন। দিলীপ ঘোষ রাজ্য রাজনীতিতে আর প্রাসঙ্গিক নন। একটা সময় পর্যন্ত আমি ওনার কথার জবাব দিতাম। কিন্তু, এখন ওর কথার জবাব দিয়ে আমি প্ররোচনায় পা দিতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন যে, ‘তবে এটা ওঁকে মনে রাখতে হবে, আমার পরে উনি রাজনীতিতে এসেছেন।’
এদিন বাবুল সুপ্রিয় বিজেপির প্রতি তাঁর ক্ষোভ আরও একবার প্রকাশ করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আট বছরে মন্ত্রিসভায় পশ্চিমবঙ্গের কেউ নেই। বাংলার কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করেনি বিজেপি। কেন বাংলায় কি যোগ্য রাজনীতিবিদ নেই বলে মনে করে?’ পাশাপাশি নিজের দল ছাড়ার কারণ নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রর উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী, গায়ক তথা অভিনেতা বলেন, ‘মন্ত্রিত্ব থেকে অন্যায়ভাবে সরানোর জন্যই বিজেপি ছেড়েছি।’ তার পরই তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রতি ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির বাইরেও দিদি আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। খোঁজখবর নিতেন। প্রশংসা করতেন। দিদির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
অন্যদিকে, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বিজেপি আবার শত্রুঘ্ন সিনহাকে ‘বহিরাগত’ বলে কটাক্ষ করেছে। এদিন এই কটাক্ষেরও জবাব দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। বললেন, ‘কে বহিরাগত! দেশের সর্বত্র শত্রুঘ্নজিকে সবাই চেনেন। কাশ্মীরে নামলেও মানুষ তাঁকে চেনেন আবার বিদেশে গেলেও মানুষ চেনে। তাই অন্য কারোর কথায় কান দিতে রাজি নই।’ একইসঙ্গে শত্রুঘ্ন সিনহার প্রংশসাও করেন বাবুল। বলেন, ‘শত্রুঘ্নজিও বিজেপির মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ছিলেন। আমিও ছিলাম। আমাদের মেরুদণ্ড আছে। তাই সত্যি কথা বলেছি। দল ছাড়তে বলেছি।’ প্রসঙ্গত, ১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট রয়েছে।