বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ উপনির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন দুই তৃণমূল প্রার্থী। আগামী ১২ এপ্রিল রয়েছে বালিগঞ্জ এবং আসানসোল কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এদিন বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় মনোনয়ন জমা দেন। এদিন আলিপুরের সার্ভে অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাবুল। এদিন বাবুলের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক দেবাশিস কুমার, তৃণমূলের দুই কাউন্সিলর বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় এবং সুদর্শনা ঘোষ। বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি নির্বাচনের পর, প্রয়াত হওয়ায়, এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে।
বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আবুল সুপ্রিয়। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়ানোয় বিজেপির পক্ষ থেকে একাধিক নেতা তাঁকে আক্রমণ করেছেন। তবে, কারও কোনও মন্তব্যকে আমল দিতে নারাজ বাবুল সুপ্রিয়।
এদিন বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘মানুষের কাজ করে যাব। অন্য দল থেকে এসেছি। ওদের ফাঁদে আমি পা দেব না।’ পাশাপাশি দলবদল প্রসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘দলবদল অপরাধ হলে কংগ্রেস থেকেও যে নেতারা বিজেপিতে এসেছেন, তাঁদের নিয়ে কী বলবেন। যখন যে দলে থেকেছি সেরাটুকু দিয়েছি। এবার এখানে আগের চেয়েও ভালো খেলব।’
অন্যদিকে, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে প্রার্থী করায় ‘বহিরাগত’ ইস্যুতে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে রাজ্য বিজেপি। যদিও এসবকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ ‘বিহারীবাবু’। এ প্রসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘মোদী বারাণসীতে বহিরাগত না হলে তিনি কীভাবে বাংলায় বহিরাগত?’ এদিন আসানসোলে হুডখোলা জিপে করে মনোনয়ন জমা দিতে যান তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা।
উল্লেখ্য, এদিন আসানসোলের স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যান তিনি। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন, তৃণমূল নেতা মলয় ঘটক, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। আসানসোলের রবীন্দ্র ভবন থেকে শুরু করে জেলাশাসকের দফতর পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা।