বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে পঞ্চায়েতের আগে পুরোপুরি জনসংযোগ সেরে ফেলল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। গত ১২ দিন ধরে তাঁদের টার্গেট ছিল রাজ্যের বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানো। মূল লক্ষ্য ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ৫০০ বিজয়া সম্মিলনী করা। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেই লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে ৫০০-র বদলে ১০০০-এর বেশি সভা করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে, এই সভা থেকেই কোন এলাকায় ঠিক কী কী ধরনের সমস্যা রয়েছে তার আঁচও পেল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। অনেক জায়গাতেই পুরনো কর্মীদের ময়দানে নামাতে পেরেছে তৃণমূল। নতুন এবং পুরাতনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দূর করতে একই মঞ্চে হাজির করা হয়েছে নেতাদের। বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমেই বুঝে নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের মহিলা কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নামছেন কিনা? বিজয়া সম্মিলনী থেকে দলের নজরে রিপোর্টও এসেছে।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের ঐক্যবদ্ধ চেহারাটা চোখে পড়েছে সব সভায়। সভাগুলিতে রাজ্য কমিটির একজন অন্তত নেতা উপস্থিত থাকছেন। ১৯৯৮ সাল অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার দিন থেকে যারা দলের সঙ্গে ছিলেন, সেই পুরনো নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জেলায় জেলায় দলের সর্বস্তরের সাংগঠনিক নেতৃত্ব থাকছেন মঞ্চে। সব মিলিয়ে দলের নতুনরা যেমন আছেন, তেমনই সঙ্গে পুরনো সিনিয়র নেতা-নেত্রীরাও বিজয়া সম্মিলনীর সভায়-মঞ্চে যথাযথ মর্যাদায় উপস্থিত থাকার সঙ্গে সঙ্গে ময়দানে নামায় সভাগুলির গুরত্বও বাড়ছে। সঙ্গে এও বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসই বাংলার মানুষের কাছে একমাত্র বিকল্প।
অন্য কোনও দল নয়। সভাগুলি পরিণত হচ্ছে সমাবেশে। এই সভাগুলির জন্য অনেক জায়গাতেই কাদের দ্বন্দ্ব তাও সামনে আসছে। জেলাগুলিতে বিজয়া সম্মিলনীর সভাগুলিতে মঞ্চের ব্যাকড্রপে ব্যবহার করা হয়েছে দুটি ছবি। একদিকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
এদিকে, এই দুজনের কেউই সব সভাগুলিতে উপস্থিত নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তিনি ভবানীপুর বিধানসভায়, দলের বিজয়া সম্মিলনীতে ছিলেন। তিনি আবার ওই কেন্দ্রের বিধায়কও বটে। আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চোখের চিকিৎসার জন্য বিদেশে আছেন এই মুহূর্তে। তাঁরা উপস্থিত থাকছেন না তো কি, তাঁদের ছবিকে সামনে রেখেই সভায় ভিড় করছেন কর্মীরা।
কাজেই দলের দুই হেভিওয়েট উপস্থিত না থাকলেও, তাঁদের ছবিকে ঘিরেই উৎসাহ-উদ্দীপনা কর্মীদের মধ্যে আনা হচ্ছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রথমে ৫০০ সভার টার্গেট রাখলেও, দেখা যাচ্ছে সভার সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে গেছে। এভাবে এই পর্যায়ে একলাফে ৩০ লাখ সাংগঠনিক কর্মীকে মাঠে নামানোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষের কাছে প্রত্যক্ষভাবে পৌঁছে যাচ্ছে দল, এমনটাই মত দলের অন্দরে।