বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনা হলেও তার অবসান ঘটেছে। পিকে যে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না তা এখন স্পষ্ট। এদিকে, কংগ্রেসের সঙ্গে এই বিচ্ছেদের পর, সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। যেখানে তাঁর কথায় স্পষ্ট যে, কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার আগে এবং পরেও তাঁর অবস্থান একই আছে। তাঁর বক্তব্যের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
কংগ্রেসের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার আগে যেমন তিনি বলেছিলেন যে, তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে বিজেপিকে হারানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার পরেও তিনি সেই একই কথা ফের বললেন। সেই সঙ্গে এটাও ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন যে, দ্বিতীয় ফ্রন্ট গড়তে হলেও, কংগ্রেসকে প্রয়োজন রয়েছে।
কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না এটা স্পষ্ট হওয়ার পর, এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন, কোনও তৃতীয় বা চতুর্থ ফ্রন্ট গঠন করে বিজেপিকে হারানো সম্ভব নয়। বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে, দ্বিতীয় কোনও ফ্রন্ট গঠন করতে হবে। এখানে পিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, তিনি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়তে সাহায্য করছেন? এর উত্তরে পিকে জানিয়েছেন যে, ‘আমি এতোটাও বোকা নই যে, তৃতীয় ফ্রন্ট গড়তে সাহায্য করব। কোনও তৃতীয় বা চতুর্থ ফ্রন্ট বিজেপিকে হারাতে পারবে না। এসব সংবাদমাধ্যমের নিজেদের পছন্দের কথা। বিজেপিকে হারাতে হলে, অবশ্যই সেই ফ্রন্টকে দ্বিতীয় ফ্রন্ট হতে হবে।’
এরপর তাঁকে ফের প্রশ্ন করা হয় যে, এই দ্বিতীয় ফ্রন্ট কি কংগ্রেস? এর উত্তরে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘কংগ্রেস একা তো কোনও ফ্রন্ট নয়, তবে, কংগ্রেসে নিঃসন্দেহে দেশের দ্বিতীয় সবথেকে বড় দল।’ পিকের স্পষ্ট জবাব, ‘দেশের জন্য শক্তিশালী কংগ্রেসের প্রয়োজন। শুধু আমি নই, কট্টর বিজেপি সমর্থকরাও জানেন কংগ্রেসের শক্তিশালী হওয়াটা দেশের জন্যও ভাল।’
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, এতোই যদি তিনি জানেন যে, কংগ্রেসের অপরিহার্যতার বিষয়ে, তাহলে তিনি নিজে কেন কংগ্রেসে যোগ দিলেন না? প্রশান্ত কিশোর জবাবে জানিয়েছেন যে, তিনি আগামী দিনে কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করার যে নীল নকশা তৈরি করেছিলেন, সেটার অধিকাংশ বিষয় কংগ্রেসের কমিটি মেনে নিয়েছে। সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনাও করেছেন। এর জন্য তিনি আপ্লুত বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু এই নীল নকশা কার্যকর করার যে পদ্ধতির বিষয়ে কংগ্রেস নেতারা বলছিলেন, তার উপরে পিকে পুরোপুরি ভরসা করে উঠতে পারেননি।
তবে কি কংগ্রেস এবং প্রশান্ত কিশোরের সম্পর্কের পুরোপুরি ইতি? পিকে জানিয়েছেন, আগামী দিনে তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবেই কাজ করতে আগ্রহী। আর সেসব বিষয়ে ২ মে তিনি ইঙ্গিত দিতে পারেন।