একঘেয়েমী খাবার খেতে কার বা ভালো লাগে। কচুরি তো আমরা খেয়েই থাকি আর খেতে ভালোও বাসি। তবে এতে যদি একটু টুইস্ট আনা যায় আহলে কেমন হয়? আশা করি ভালোই হবে। তাই আজকে রইল অন্য স্বাদের কচুরির রেসিপি যাতে কিমা ও পনির থাকবে একসাথে। একনজরে দেখে নিন কিমা ও পনিরের কচুরির রেসিপি-
কিমা ও পনিরের কচুরি তৈরি করতে যা যা লাগবে - ২০০ গ্রাম ছোলার ডাল (এক রাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে), ২০০ গ্রাম কিমা, ১৫০ গ্রাম জল ঝরানো ছানা, ৪ টেবিল চামচ আটা, ২টি পেঁয়াজ কুচোনো, ১ চা চামচ আদাবাটা, ১ চা চামচ রসুনবাটা, লঙ্কা বাটা, ১/২ চা চামচ গরমমশলার গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ খাবার সোডা, ২টি কাঁচা লঙ্কা কুচোনো, পরিমাণমতো সাদা তেল, প্রয়োজনমতো হলুদগুঁড়ো, স্বাদমতো লবণ ও চিনি।
কিমা ও পনিরের কচুরি কীভাবে তৈরি করবেন দেখে নিন - প্রথমে রাতে ভিজিয়ে রাখা চলার ডাল পেস্ট করে নিন। এরপর তাতে পরিমাণমতো খাবার সোডা, নুন ও হলুদ দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণে সামান্য পরিমাণ আদা বাটা, লঙ্কা বাটা, গরমমশলা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ভালো করে মেশানো হলে আটা মেশান। আটা দিয়ে ভালো করে মেখে লেচি করে রাখুন।
এরপর কড়াই এ তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ ভালো করে ভাজা হয়ে এলে একে একে আদা বাটা, রসুন বাটা, লঙ্কা কুচি, হলুদ ও স্বাদমতো লবণ ও চিনি দিয়ে ভালো করে কষে নিন। এবার কিমা দিয়ে দিন। কিমা দেওয়ার পর আবারও ভালো করে কষে নিন। কষা হলে এতে ছানা দিয়ে দিন। এবার ভালো করে নাড়াচাড়া করুন। শুকনো মতো হলে এলে গরমমশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। তাহলেই রেডি পুর।
এবার করে রাখা লেচি এর মধ্যে কিমা ও ছানার পুর ভরে দিন। এবং কচুরির আকারে গড়ে নিন। সবগুলি কচুরির আকারে গড়া হয়ে এলে কড়াই এ সাদা তেল গরম করে হালকা আঁচে ভাজুন। ভালো করে ভেজে তুলে নিন। এবার সস এর সঙ্গে পরিবেশন করুন কিমা পনিরের কচুরি।