বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এমনটাই খবর সিবিআই সূত্রে। দেবরাজ চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা এবং বিধাননগরের কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার তাঁকে বেলা ১১ টা নাগাদ অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় সিবিআই।
বাগুইহাটি থানা এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই আজ ডাকা হয়েছে দেবরাজকে। এই তলব প্রসঙ্গে আগেই দেবরাজ চক্রবর্তী জানান যে, নির্ধারিত সময়েই যাবেন সিজিও-তে।
সেই মতো এদিন নির্ধারিত সময়েই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয় দেবরাজের গাড়ি। এদিন সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে ঢোকার আগে দেবরাজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন যে, ‘আমাকে একটা নোটিস পাঠানো হয়েছে। আমাকে ডাকা হয়েছে। তদন্তের কাজে সহযোগিতা করতে আমি এসেছি। এখন ভিতরে কী হবে ওনারাই বলবেন। ওনারা যা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তার জন্য আমার পক্ষে যতটুকু ইনফরমেশন আছে, তা দিয়ে আমি সহযোগিতা করব। ২০২১ সালের একটা ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আমাকে ডাকা হয়েছে।’
২১-এর ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় এবার সিবিআইয়ের নজরে এবার দমদম ও ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তী। বিধাননগর পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড, দমদম পার্কের হরিচাঁদ পল্লির বাসিন্দা বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাসকে খুনের অভিযোগ ওঠে। আর সেই ঘটনার কারণেই দেবরাজ সিবিআই-এর নজরে।
২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের ফল প্রকাশের পরই হরিচাঁদ পল্লিতে বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বাগুইহাটি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরিবারের তরফে আরও অভিযোগ করা হয় যে, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি তাঁদের। এরপরই প্রসেনজিতের পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল ওঠে।
এরপর আদালতের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই। যেসব জায়গা থেকে হিংসার অভিযোগ আসে, সেখানে গিয়ে ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। ঠিক সেইভাবেই মৃত বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাসের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। কীভাবেই, কোন অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়, তা জানতে চান। এবার সেই মামলাতেই দেবরাজের সঙ্গে কথা বলতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে।