চাকরির দাবিতে সংসার ছেড়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন তারা। আর এই আন্দোলন থেকেই মিলল নতুন সংসারের খোঁজ। ব্যারিকেড, আন্দোলনের থেকেই আলাপ হলো নদীয়ার যুবক মিঠুন বিশ্বাস ও পূর্ব মেদিনীপুরের যুবতী খুকুমনির। আর এর পরেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন এই যুগল।
আন্দোলন ৬০০ দিনে পা দিল। এই আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে লড়াই করে যাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের খুকুমণি এবং নদীয়ার মিঠুন। বারবার রাস্তায় নামেন আন্দোলনকারীরা। এইরকমই একদিন রাস্তায় দেখা হয় খুকুমণি আর মিঠুনের। সেই রাস্তা থেকে একসঙ্গে লড়াই করতে করতে এখন একসঙ্গে বাসা বেঁধেছেন তাঁরা। ২০২০ সালের শেষের দিকে আন্দোলনের আলাপ বিয়েতে পরিণত হয় ২০২২ সালের অগস্ট মাসে।
মিঠুনের কথায়, ‘‘একটা সময়ে জীবনে হতাশা চলে এসেছিল। মনে হচ্ছিল দু’জনেই শিক্ষিত, দু’জনেরই চাকরি পাওয়ার কথা। কিন্তু শুধু মাত্র দুর্নীতির কারণে আমাদের সেই চাকরি তখন হয়নি। চাকরি এখনও হয়নি। কিন্তু খুকুমণি এবং আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস আছে যে, চাকরি এক দিন আমাদের হবেই! এখন জীবনে সংগ্রাম হলেও বিশ্বাস আছে যে, চাকরি পাওয়ার পর ভবিষ্যৎ জীবনটা উজ্জ্বল হবে।’’
‘হবু শিক্ষক’ মিঠুন এখন মাঠে কাজ করে। চাষ করে যা সামান্য রোজগার করে, সেখান থেকেই কোনওক্রমে বেঁচে আছেন তাঁরা।বিয়ে করলেও সংসার নিয়ে মেতে নেই দম্পতি। সেই সময় নেই তাঁদের। এখনও নিয়ম করে চলছে ধর্না-আন্দোলন-মিছিল-স্লোগান। তাতে যোগ দিচ্ছেন নবদম্পতি।