টেট দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে আদালত। এবার কতদূর তা নিয়ে তাড়া লাগালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশ্য সিবিআই আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছে যত দ্রুত সম্ভব তারা তদন্ত শেষ করার চেষ্টা করছেন।
মূলত সোমবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই এর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলে জিজ্ঞেস করেন, "সিবিআই এর ম্যাজিক কবে দেখবো"? এরপরেই সিবিআই-এর তরফে আশ্বাস দিয়ে জানানো হয় যত দ্রুত সম্ভব আসল সত্য তারা সামনে নিয়ে আসবে।
কিছুদিন আগেই মামলা চলাকালীন বাতিল হওয়ার ২৬৮ জন চাকরি প্রার্থীর মধ্যে একজন দাবি করেছিলেন 2017 সালে তার কাছে একটি ফোন এসেছিল। সেখানে ওই ব্যক্তি নিজেকে পর্ষদের আধিকারিক বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন এবং আবেদনকারী যেন পর্ষদ সভাপতি সাহেব রক্ষা করেন এবং সেখান থেকে নিয়োগ পত্র সংগ্রহ করেন সে বিষয়ে জানিয়েছিলেন। এরপরে সেই রহস্যজনক ফোন নম্বর খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।
এদিন সেই রহস্যজনক নম্বরের প্রসঙ্গ তুলেও সরব হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআই এর কাছে তিনি জানতে চান, রহস্যজনক নম্বরের পেছনে কে রয়েছে তার দ্রুত বের করতে হবে তদন্তকারীদের। এই প্রসঙ্গে অবশ্য সিবিআই জানিয়েছে, নদীয়া জেলার এক আধিকারিক এর নম্বর ছিল সেটি। ইতিমধ্যেই সেই আধিকারিককে অপসারিত করা হয়েছে।
সিবিআই আরো জানিয়েছে তাদের অনুমান, নদীয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের নম্বর হতে পারে এটি। এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই ব্যক্তিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। এদিন ফের একবার বিচারপতি জানতে চান ওই মালিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কিনা। উত্তরে সিবিআই জানিয়েছে তাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামীকালের মধ্যেই তাকে তলব করা হয়েছে। এই নিয়ে সিবিআই আগামী সপ্তাহে রিপোর্ট জমা দেবে আদালতে।