বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরও কড়া পদক্ষেপ পুলিশের। করুণাময়ীতে পর্ষদের সামনে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ ইতিমধ্যেই। এদিকে, আদালতের রায়ের কপি হাতে আসার পরে আন্দোলনকারীরাও নিজেদের রণকৌশল বদলে ফেললেন। অবস্থান উঠলেও, আন্দোলন থেমে নেই। আগের জায়গা থেকে খানিকটা খানিকটা সরে গেলেন তাঁরা। সবাই একসঙ্গে দল বেঁধে নয়, ৫ জন করে দল তৈরি করে বসে রয়েছেন তাঁরা আলাদাভাবে। এইভাবেই চলবে আন্দোলন। কলকাতা হাইকোর্টর সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে চলেছে টেট উত্তীর্ণরা।
আর কতদিন তাঁদের ন্যায্য দাবি পূরণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে? ক্রমশ ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙেছে টেট উত্তীর্ণদের। অবস্থান বিক্ষোভ নয়, চাকরির দাবিতে এবার সল্টলেক করুণময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে অনশনে বসেছেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। উল্লেখ্য, যাঁরা অনশন করছেন, তাঁরা সকলেই ২০১৪ সালে প্রাথমিকে টেট পাস করেছেন। কিন্তু এখনও নিয়োগ হয়নি তাঁদের। কবে হবে সেই নিয়োগ?এবার তাঁরা অনশনের রাস্তা অবলম্বন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার টেট উত্তীর্ণদের অনশন চতুর্থ দিনে পড়ল।
এদিকে, অনড় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও। সাংবাদিক সম্মেলন করে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, ‘২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের দাবি আইনসম্মত নয়। অন্যায্য দাবি করছেন টেট আন্দোলনকারীরা।’ কেন তাঁদের দাবি অন্যায্য? প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদদের সভাপতির দাবি, ‘২০১৬ সালের নীতি মেনেই নিয়োগ হবে। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা দু`বার ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। আইন ভেঙে নিয়োগ সম্ভব নয়’। এমনকি কর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ।
আজ সেই মামলারই শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে। শুনানিতে পর্ষদের আইনজীবী বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস কার্যত বন্ধ। আমরা ঢুকতে-বেরোতে পারছি না। সামনে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। মাইকিং করেও আন্দোলনকারীদের সরানো যায়নি।’ এরপরই রাজ্যের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, ‘এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারী মানছে না। আমরা সবরকমভাবে প্রস্তুত। আদালত নির্দেশ দিক।’
আজ হাইকোর্টর নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘১৪৪ ধারা নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত পুলিস মোতায়েন করতে হবে রাজ্যকে। কর্মীরা যাতে অফিসে ঢুকতে পারবেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে’। এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘পুলিশ কি পাওয়ার লেস?’ আপাতত ৪ নভেম্বর পর্যন্ত আদালতের এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে। ৪ তারিখের পর মামলাটির শুনানি হবে হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে। এদিকে,পর্ষদের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
অন্যদিকে, এদিন সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের হাতে হাইকোর্টের নির্দেশের কপি তুলে দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এরপরই আন্দোলনকারীরা তাঁদের রণকৌশল পরিবর্তন করেন। ৫ জনের দল তৈরি করে অনশন চালিয়ে যাওয়ার নেন টেট উত্তীর্ণরা। শুধু তাই নয়, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সচিবালয়ে যোগাযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এখানেই শেষ নয়, রাতেই আদালতে বসিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা শুনানির আর্জিও জানানো হয়েছে।