জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল এসএসসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবিরেশ ভট্টাচার্যের। একইসঙ্গে বিচারপতির তীব্র ভৎসনার মুখে পড়তে হয় সুবিরেশ ভট্টাচার্যকে। এদিন করা বাক্যবানে সুবিরেশকে বিদ্ধ করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন হাইকোর্টের সুবিরেশ ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী আদালতের জানান তার মক্কেল চেয়ারম্যান থাকাকালীন নিয়োগ দুর্নীতি হয়নি। এরপরেই আদালতের তীব্র রোষের মুখে পড়েন সুবিরেশ ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্যবেক্ষণ দেখা যায় এদিন হাইকোর্টের।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। এতে একদিকে যেমন অযোগ্যদের চাকরি দিয়ে যোগ্যদের বঞ্চিত করা হয়েছে ঠিক তেমনি অযোগ্যরা আগামী প্রজন্মের শিক্ষার হার নিয়ে তাকে চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, "সমাজের একজন হিসেবে কেউ কি আশা করতে পারেন না যে অন্তত শিক্ষক নিয়োগ টা স্বচ্ছ ভাবে হবে? সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগ। এটা তো সমাজের সঙ্গে বেইমানি করা"।
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর সংযোজন, "গাফিলতি বলে নিজেকে এড়ানো যায় না। গাফিলতিকে জামিন চাওয়ার ক্ষেত্রে ঢাল করতে পারে না। যেভাবে ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরির সুপারিশ করা হয়েছে, এটা গাফিলতি বলে এড়ানো যায় না! এটা দুর্নীতি। উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী সংস্থা বলছে ওএমআর নম্বর কম আর এসএসসি সার্ভারে এত নম্বর! যেখানে পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্ক নেই। সেখানে ওএমআর বিকৃতি কীভাবে সম্ভব!"
এরপর সুবীরেশের আইনজীবী বলেন, ” সুবীরেশবাবু পদে থাকাকালীন এই সব ঘটনা ঘটেনি। আমি এটা বলতে চাইছি। ২১ অক্টোবরের চার্জশিট মোতাবেক অভিযোগ, মৌখিক নির্দেশে প্রোগ্রামিং অফিসার নাকি উত্তরপত্র পরিবর্তন করেছেন। কম নম্বর পেয়েছেন এমন প্রার্থীদের বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এসএসসির ওয়েবসাইটে নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে"।
এরপর তীব্র ভর্ৎসনা করে জয়মাল্য বাগচী জানান, "আপনি একটি সংস্থার সর্বোচ্চ পদে ছিলেন। সেই জায়গায় কীভাবে আপনাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এড়িয়ে যেতে পারেন? যিনিই অভিযোগ আনুক আপনার বিরুদ্ধে, আপনি এত দিন কেন সচেতন হননি?