বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। মেট্রো পথে এবার যুক্ত হল ফুলবাগান ও শিয়ালদহ। অনেক টানাপোড়েনের পর সোমবার এই মেট্রো পথের উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তবে, এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি ছিলেন না তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধিও।
এদিন বিকেল ৪ টে বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ শিয়ালদহে নতুন নির্মিত মেট্রো স্টেশন ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। মেট্রো রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দেখেন স্টেশনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং সমস্ত সুযোগ-সুবিধা। এর পাশাপাশি যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য নয়েও খোঁজখবর নেন স্মৃতি ইরানি।
এরপরে এই পথেই যাত্রা করেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী। এরপর বিকেল ৫ টার সময় তিনি প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। বলেন, ‘আজ ফুলবাগান, শিয়ালদহ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন সফল হল। এই মেট্রো উদ্বোধনের ফলে কলকাতার মানুষের অনেক সুবিধা হবে। পাশাপাশি ব্যবসার ক্ষেত্রেও সুফল মিলবে।’ এদিন মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি একই মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেন স্মৃতি ইরানি। এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রের প্রকল্পের প্রচারও সারেন এই সুযোগে।
এদিন বাংলায় শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধন করে এসে বাংলার সঙ্গে যে তার নাড়ির যোগ রয়েছে সেকথাও তুলে ধরেন। জানান যে, সল্টলেকে তাঁর মামার বাড়ি ছিল। তাঁর কথায়, ‘আমি বাংলার মেয়ে। বাগচি পরিবারের মেয়ে। তাই কলকাতার এই প্রকল্প উদ্বোধন আমার কাছে খুব গর্বের বিষয়।’
তবে, এদিন শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিতর্কের মুখে পড়ে শেষমুহুর্তে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। অথচ অনেক আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরসূচি প্রস্তুত ছিল। এদিকে, উদ্বোধনের জন্য এই পথকেই বাছা হয়, তৃণমূলের দাবি, ইচ্ছে করেই এটা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী না থাকায়, স্বাভাবিকভাবেই অনুপস্থিত ছিলেন আমন্ত্রিত তৃণমূলের প্রতিনিধিরাও। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছে, ‘বাড়িতে কার্ড ফেলে দিয়ে এলেই নিমন্ত্রণ হয় না। কুৎসিত রাজনীতি করছে বিজেপি।’