কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পয়লা ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। যারা সুপারিশপত্র পেয়েছেন তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনই দেওয়া যাবে না বলে এদিন জানিয়ে দেন বিচারপতি।
মঙ্গলবার অতিরিক্ত ৭৫০ শূন্য পদের নিয়োগ আপাতত বন্ধ থাকবে বলেই জানিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই ২০১৭ এ লিখিত পরীক্ষা এবং ২০১৮ ইন্টারভিউ হয়। এরপর এই বছরেই অক্টোবরে ওই পরীক্ষার ভিত্তিতে কর্মশিক্ষক এবং শারীর শিক্ষকদের অতিরিক্ত পদ তৈরি করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। এরপর প্রকাশিত হয় ওয়েটিং লিস্ট।
এদিকে সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ করেন, তাঁর চেয়ে কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীর নাম রয়েছে ওয়েটিং লিস্টে। কিন্তু তাঁর নাম নেই। এরপরেই তিনি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলারই শুনানি ছিল আজ।
এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চান কিসের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পদ তৈরি করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিলো এসএসসি? কিন্তু তার সদুত্তর এদিন তিনি পাননি। এরপরে ই নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন এখনই চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া করতে পারবে না এসএসসি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বৃহস্পতিবার ততদিন পর্যন্ত কোনও চাকরিপ্রার্থীকে সুপারিশ দিতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন।
এদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার তাদের অফিস বন্ধ তাই নিয়োগপত্র দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। তবে এখনই কোনরকম নিয়োগপত্র দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে আদালতের তরফে। পরবর্তী শুনানির দিন বিচারপতি কী নির্দেশ দেন তার ওপরে নির্ভর করছে কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় অতিরিক্ত পদে নিয়োগের বিষয়টি। কিন্তু এদিন ফের একবার স্থগিতাদেশ দেওয়ায় শূন্য পদ নিয়োগের ক্ষেত্রে তৈরি হল জট