৮৫ ঘন্টার মাথায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে জোর করে ২০১৪ আন্দোলনকারী টেট চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দিল পুলিশ। মধ্যরাতে কার্যত রণক্ষেত্রের আকার নিল সল্টলেক করুণাময়ী। জোর করে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের।
নিয়োগের দাবিতে বিগত চার দিন ধরে অনশন আন্দোলন করছেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। তাদের দাবি, ২০১৬ সালে যখন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় তখন ৪২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করেছিল রাজ্য। কিন্তু এত দুর্নীতি হয়েছিল যে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাননি। এরপর অবিলম্বে তাদের নিয়োগ দিতে হবে বলে আন্দোলনে বসেন তারা। এদিকে ইতিমধ্যেই তাদের এই আন্দোলন নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছে পর্ষদ।
এরপর নিজেদের দাবিতে অনর থেকে অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। এরমধ্যেই গতকাল সকাল থেকেই উত্তেজনা ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছিল। মধ্যরাতেই তার মধ্যে টেট আন্দোলনকারীদের অভিযান তুলতে করুণাময়ীতে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
রাত বারোটা নাগাদ হঠাৎই কুরুক্ষেত্রের আকার নেয় সল্টলেক করুণাময়ী চত্বর। কারীদের টেনে হিঁচড়ে পুলিশের জিপে তোলা হয়। এমনকি মহিলা আন্দোলনকারীদেরও জোর করে জিপে তোলা হয়। এই পুরো ঘটনার সময় আন্দোলন স্থলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ।
গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নিন্দে করে অগ্নিমিত্রা পাল জানান, "প্রতিবাদ করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। বাচ্চা কোলে নিয়ে এরা চুপচাপ প্রতিবাদ করছিল,কোন আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি করেনি। আদালতের রায়ের ভয়ে আন্দোলন তুলে দিলো পুলিশের কোন অধিকার নেই আই ভাবে আন্দোলন তুলে দেওয়ার"।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। এই সময় ১৪৪ ধারা নিশ্চিত করে ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের হাতে অবিলম্বে ওই জায়গা ফাঁকা করার নোটিশ ধরায় পুলিশ। কিন্তু নিজেদের দাবিতে অনর থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় রাতে এই অভিযান চালায় বিধান নগর পুলিশ।