বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এখনও তিনি রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব। এদিকে মঙ্গলবার রাত থেকেই তাঁর ঠিকানা ইডি বিল্ডিংয়ের ৬ তলার কনফারেন্স রুমের একটা অংশ। সেখানেই অস্থায়ী লকআপের ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ঘরে নেই কোনও বাহুল্য। রয়েছে বলতে একটা ফ্যান এবং খাট এবং একটি কাঠের চেয়ার। এমনকি কোনও অ্যাটাচ বাথরুমও নেই। কাজেই শৌচালয় যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে নিতে হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীর সাহায্য। কয়েক কোটি টাকার নামে-বেনামে সম্পত্তির মালিকের এখন এভাবেই কাটছে দিন-রাত।
আজ, বুধবার পার্থ- অর্পিতাকে জেরার দ্বিতীয় দিন। গতকালই এই দুজনকে দফায় দফায় জেরা করেছেন ইডির আধিকারিকরা। প্রয়োজনে এই দু-জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের সময় ছাড়া বেশিরভাগ সময়ই শুয়েই কাটিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দুপুরের দিকে সামান্য সাধারণ খাবার খেয়েছেন। পাশাপাশি বার-তিনেক গ্রিন টিও খেয়েছেন।
এদিকে, ওই একই তলায় ইডির স্থায়ী কমন লকআপে রয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেখানে রয়েছে দুটি ফ্যান, অ্যাটাচ বাথরুম এবং চারটি বেড। এখানে চারজনকে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে একাই এখানে রয়েছেন অর্পিতা। জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখছেন ইডির কর্তারা। ভুবনেশ্বর এইমসের চিকিৎসকদের দেওয়া ওষুধ নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে।
মঙ্গলবার পার্থকে ইডির একাধিক প্রশ্ন করা হয় বলেই জানা গিয়েছে। যদিও সব প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি বলেই ইডি সূত্রে খবর। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাই আজ ফের তাঁকে ম্যারাথন জেরা করা হবে বলেই খবর। অন্যদিকে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গতকালও দফায় দফায় আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অর্পিতা জেরায় সহযোগিতা করছেন এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলেই ইডি সূত্রে খবর।
এদিকে, আজ মানিক ভট্টাচার্যকেও ডাকা হয়েছে ইডির তরফে। বেলা ১২ টা নাগাদ তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার পরই পার্থ ও অর্পিতাকে মুখিমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগে মোট ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আরও ১০০ কোটি টাকা আদায় করতে হবে। আদালতে এমনই দাবি করেছে ইডি-র আইনজীবী। তিনি এও দাবি করেছেন যে, রাজ্যে প্রাথমিক এবং এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।