বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ জেলের খাবার আর মুখে রুচছে না পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতার। সেটাই স্বাভাবিক। তেল-মশলা ছাড়া খাবার। একেবারে সাদামাটা খাবার যাকে বলে। তাই তো রবিবার দুপুরে পাঠার মাংস সহযোগে ভাত খাওয়ার আবদার জুড়ে বসেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। যদিও সে আবদার রাখেননি ইডি-র আধিকারিকরা। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তার পরেও কিনা পার্থ চট্টোপাধ্যায় চাইছেন খাসির মাংস ও ভাত!
ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা অবশ্য পার্থর আবদারে কর্ণপাত করছেন না। চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট ফলো করা হচ্ছে তাঁর জন্য। কাজেই শখ যাই হোক না কেন, ইডি-র আধিকারিকদের অনুমতি ছাড়া কোনও কিছু খাবার জো নেই এই মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এদিকে, একই অবস্থা পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরও।
পার্থ খাসির মাংস চাইলেও, অর্পিতার চাই ব্ল্যাক কফি। আবার কখনও কখনও চাইছেন ড্রাই ফ্রুটসও। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর পার্থ-অর্পিতা দুজনকেই চিকিৎসকদের করে দেওয়া ডায়েট চার্ট অনুযায়ী খাবার দেওয়া হচ্ছে। তাই বারবার ড্রাই ফ্রুটস এবং ব্ল্যাক কফির জন্য নাছোরবান্দা আর্জি জানালেও, অর্পিতার আর্জিকে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছেন না ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এবার দেখে নেওয়া যাক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেনুতে কী থাকছে সারাদিনে। ইডি সূত্রে খবর, সিজিও কমপ্লেক্সের জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথমেই দেওয়া হয়, চিনই ছাড়া লিকার চা এবং ২টি ক্রিম ক্র্যাকার বিস্কুট। ওটসের খিচুড়ি দেওয়া হচ্ছে দুপুরের খাবারে। ঘণ্টাখানেক পর ডায়েট চার্টে দেওয়া রয়েছে দু’রকমের ফল। এদিকে, ইডি সূত্রের খবর, রবিবার দুপুরে নাকি খাসির মাংস ও ভাত খেতে চেয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে, খাসির মাংসের পরিবর্তে তাঁকে মুরগির মাংস খেতে দেওয়া হয়েছে। এরপর মুসাম্বির রস দেওয়া হয়। সন্ধেয় তেলেভাজা খেতে চেয়ে আবদার করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তবে, সে আবদারও মেটেনি। তেলেভাজার বদলে পেয়েছেন মুড়ি ও বিস্কুট। এরপর রাতে দু’টি রুটি এবং তরকারি খেতে দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
এবার আসা যাক পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার মেনু প্রসঙ্গে। অর্পিতার প্রতিদিনের ডায়েট চার্ট থেকে বাদ পড়েছে যাবতীয় তেল-মশলাযুক্ত খাবার। তিনি বারবার ড্রাই ফ্রুটস এবং ব্ল্যাক কফির জন্য আবেদন করলেও, তা দেওয়া হয়নি। তাঁর মেনুতে থাকছে, সকালে ঘুম থেকে উঠেই চিনই ছাড়া লিকার চা এবং ২ টি ক্রিম ক্র্যাকার বিস্কুট। ব্রেকফাস্টে চারটি ব্রাউন ব্রেড, ডিম সেদ্ধ এবং কলা। এর এক ঘণ্টার মধ্যে অর্পিতাকে দেওয়া হচ্ছে দু`রকমের ফল। এরপর দুপুরের খাবারে থাকছে ভাত, ডাল, সবজি এবং মাছ। সন্ধের সময় দেওয়া হচ্ছে চা এবং বিস্কুট। ডিনারে দেওয়া হচ্ছে দু`টো রুটি এবং সবজি। এখানেই শেষ নয়, দু’জনকেই বারবার করে ওআরএস মিশ্রিত জল দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যাতে তাঁদের ঠিকঠাক ও পর্যাপ্ত ঘুম হয়, সেদিকেও নজর রাখছে ইডি।