বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সময় দুপুর আড়াইটে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে খাস কলকাতার বুকে চলতে শুরু করল একের পর এক গুলি। এর জেরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড় থেকে সামান্য দূরে বেকবাগানে। এর জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে বেকবাগানের বাংলাদেশে ডেপুটি হাইকমিশনের আউট পোস্টে কর্মরত এক পুলিশকর্মী এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন আচমকাই। এর জেরে রাজপথেই গুলিবিদ্ধ হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়। এরপরে গুলি চালিয়ে নিজেও আত্মঘাতী হন ওই পুলিশকর্মী। নিজের গলার কাছে গুলি চালিয়েছিলেন তিনি। ‘আত্মঘাতী’ ওই পুলিশকর্মী তপসিয়া থানার অধীনে পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্তব্যরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আত্মঘাতী পুলিশ কর্মীর নাম চোডুপ লেপচা। জানা গিয়েছে, একবছর আগেই তিনি এই কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কী কারণে তিনি মানসিক অবসাদে ছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী পুলিশ কর্মী তিনি ছুটিতে ছিলেন। শুক্রবারই ওই পুলিশ কর্মী বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের আউট পোস্টে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। এদিন দুপুরে আচমকা তিনি তাঁর এসএলআর রাইফেল থেকে গুলি চালাতে শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, ওই পুলিশকর্মী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলি চালান ওই পুলিশকর্মী। পুলিশকর্মীর ছোঁড়া গুলিতে মৃত্যু এহ এক মহিলার। ওই মহিলা এক অ্যাপ নির্ভর বাইকে যাচ্ছিলেন। ওই মহিলার মাথায় গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ওই মহিলা লুটিয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা হাওড়ার বাসিন্দা, নাম রিমা সিংহ, তাঁর বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল বলেই খবর। রিমা তাঁর পরিবারে একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন।
অন্যদিকে, বাইক চালকেরও গুলি লেগেছে বলে প্রথমে জানা গেলেও, পরে পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বাইক চালকের গুলি লাগেনি। তবে, গুলিতে আহত হয়েছে আরও দুইজন। এর মধ্যে এক বছর ১৯ এর এক পড়ুয়া এবং এক ব্যবসায়ী রয়েছে। তাঁদের এই মুহূর্তে এসএসকেএম-এ চিকিৎসা চলছে বলেই খবর। এছাড়াও ঘটনাস্থলের বেশ কিছু গাড়িতেও গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এদিন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার প্রবীন ত্রিপাঠী বলেন, ‘চোডুপ লেপচা সম্ভবত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই কারণেই তিনি এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে নিজেও আত্মঘাতী হলেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।’
পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন আগেই তিনি ছুটিতে কালিম্পং-এ বাড়িতে গিয়েছিলেন। ছুটি থেকে ফিরে আজই কাজে যোগ দেন। চোডুপ লেপচা কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর পঞ্চম ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগেই আরও কয়েকজনের সঙ্গে তাঁকেও বেকবাগানের কাছে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের আউটপোস্টের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োগ করা হয়েছিল। কী কারণে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।