নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথমেই নাম জড়িয়ে ছিল তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারীর। প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে স্কুল শিক্ষিকার চাকরির দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার নামে। ইতিমধ্যেই তার মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী কে অপসারণ করা হয়েছে স্কুল শিক্ষিকার পদ থেকে। এবার সিজিও কমপ্লেক্সে ফের একবার মুখোমুখি হতে হল পরেশ অধিকারী কে।
এর আগে সিবিআই একাধিকবার জেরা করেছে পরেশ অধিকারীকে। এবার এই প্রথম ইডির মুখোমুখি হলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। এদিন বেলা ১১ টা নাগাদ ইডির দপ্তরে যান তিনি। তখন থেকেই জেরা শুরু হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। মূলত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় কোন তথ্যের সন্ধান পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
এদিন ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়ে পরেশ অধিকারী জানান, তার বাড়ি থেকে বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই নথি গুলো দেখেই তাকে প্রশ্ন করা হয়েছে। আবারো তাকে তদন্তকারী দল ডাকতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। তবে কবে তাকে ডাকা হবে সেই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। পরবর্তীকালে তাকে আবার নোটিস দিয়ে সেই সময় জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের সময় এসএসসি মেধাতালিকায় বেআইনিভাবে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার নাম ঢোকানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। প্রভাব ফাটিয়ে নিজের মেয়েকে চাকরি করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল পরেশ অধিকারির বিরুদ্ধে। ববিতা সরকার নামে এক চাকরিপ্রার্থীর করা মামলায় সামনে আসে এই অনিয়ম। অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ববিতাকে সেই চাকরি ফিরিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিকে, জুলাই মাসে পরেশ অধিকারির বাড়িতে তল্লাশির পর বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই নথি খতিয়ে দেখেই এদিন তাঁকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। বিশেষত, এই নিয়োগে কোনও টাকারও লেনদেন হয়েছিল কিনা তা জানতে চায় আধিকারিকরা। সেই মতো সোমবারই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি র দফতরে হাজিরা দেন কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের বিধায়ক।