বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিকের ফলাফল। পরীক্ষা শেষের পর ৭৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফল। ছাত্রের তুলনায় এবছর মাধ্যমিকে ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২০ হাজার ৯৬১ জন বেশি। এবছর মোট মোট পাশ করেছেন ৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯২৭ জন। এবছর ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা ১১ শতাংশ বেশি। এবছর মোট পাশের হার ৮৬.৬০ শতাংশ। এবছর পাশের হারে প্রথমেই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। এখানে পাশের হার ৯৭.৬৩ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে কালিম্পং, সেখানে পাশের হার ৯৪.৭১ শতাংশ। আর কলকাতায় পাশের হার ৯৪ শতাংশের বেশি।
এদিন মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেধাতালিকায় থাকা জেলার কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী টুইটে বার্তা দিয়েছেন। শুক্রবার মাধ্যমিকের রেজাল্ট ঘোষণা হওয়ার পরই টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি লেখেন, ‘মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতী পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের জেলায় ছেলেমেয়েরা অসাধারণ ফলাফল করেছেন। শহরের ছাত্র-ছাত্রীরাও আমাদের গর্বিত করেছে।’
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী এদিন শুধুমাত্র উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছে। তিনি টুইটে লেখেন, ‘সকল অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কুর্নিশ জানাই। খুব দ্রুতই এ বছর পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। ২০২৩ সালের পরীক্ষার সূচিও ঘোষণা করা হয়েছে এদিন। তবে যারা এ বছর উত্তীর্ণ হতে পারেনি বা আশানুরূপ ফল করতে পারেনি, তারা হতাশ হও না। ভবিষ্যতের জন্য লড়াই জারি রাখো।’
এদিন চলতি বছরের মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পাশাপাশি ঘোষণা করা হয়েছে ২০২৩ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন। চলতি বছরের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু, আগামী বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ফেব্রুয়ারি মাসেই। অর্থাৎ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই শুরু হবে পরীক্ষা। ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা, আর শেষ হচ্ছে ৪ মার্চ।
এবছর যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে বাঁকুড়ার রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুলের অর্ণব ঘড়াই ও পূর্ব বর্ধমানের পূর্ব বর্ধমানের সিএমএস স্কুলের রৌনক মণ্ডল। এদের দুজনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। দ্বিতীয় স্থানেও রয়েছে দুইজন। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হয়েছে ঘাটালের কৌশিকী সরকার ও রৌণক মণ্ডল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। তৃতীয় স্থানেও রয়েছে ২ জন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। নাম, পশ্চিম বর্ধমানের অনন্যা দাশগুপ্ত এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দেবশিখা প্রধান। এরপর চতুর্থ স্থানে রয়েছে ৪ জন, এদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। পঞ্চম হয়েছেন ১১ জন। তাঁদের মোট নম্বর ৬৮৯। ষষ্ঠ স্থানেও জায়গা করে নিয়েছেন পাঁচজন। মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ১০ জন জায়গা করে নিয়েছেন সপ্তম স্থানে। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। অষ্টম স্থানে ৬৮৬ নম্বর পেয়ে রয়েছেন ২২ জন। নবম স্থানে থাকা ১৫ জনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫। প্রায় ৪০ জন রয়েছেন দশম স্থানে। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪।