বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ নজরুল মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসে সাংগঠনিক বৈঠকে কড়া ভাষায় দলীয় কর্মীদের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি দলের শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন। এদিন তিনি বলেন, ‘যারা দলের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও নির্দলের হয়ে প্রচার করেছেন, তাঁদের উপর নজর রাখা হয়েছে। প্রথম অ্যালার্ট করা হবে। তারপর শোকজ আর সেরকম মনে হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’ এভাবেই এদিন দলীয় কর্মীদের সতর্ক করলেন নেত্রী।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দলের উপ ভরসা ভরসা রাখতে হবে। মানুষের উপর ভরসা রাখতে হবে। দলের প্রার্থী ছেড়ে নির্দল প্রার্থীকে পুরভোটে সাহায্য করেছেন অনেকে। বগলদাবা করে ঘুরেছেন। আমি সব নজর রেখেছি। দলের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও নির্দলদের কেন সমর্থন করা হবে? এদের নাম ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। ২-৩ জনকে সতর্ক করা হয়েছে। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে বলেছি। প্রথমে অ্যালার্ট করা হবে। তারপর শোকজ করা হবে। এরপরও না হলে দল থেকে ঘ্যাঁচ করে কেটে দেওয়া হবে।’
পাশাপাশি এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘নিজের লবির লোককে দেখলে চলবে না। দলের নীতি মেনে চলতে হবে। নিজেকে কেউকেটা ভাববেন না। দলকে গুরুত্ব দিতে হবে।’
এদিন নজরুল মঞ্চে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যদেরও নাম ঘোষণা করেন নেত্রী। নতুন কমিটিতে আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন মমতা বলেন, ‘প্রথমে অ্যালার্ট, তারপর শো-কজ। দুবার শোকজ করব। তারপর সাসপেন্ড, যতো বড় নেতাই হোক। দু-তিনজনকে ইতিমধ্য়ে অ্যালার্ট করা হয়েছে। তাদের লাস্ট চান্স দেওয়া হল।’
অন্যদিকে, এদিন বিধানসভা বাজেট অধিবেশনে বিরোধীদের গণ্ডগোল কড়া নিয়েও ফের ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বদন্যপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গতকাল বিধানসভায় যা হচ্ছে তা গণতন্ত্রের লজ্জা। পুরভোটে হেরেও লজ্জা নেই বিজেপির। নির্বাচিত দলকে কাজ না করতে দেওয়ার জন্যই বিজেপি এরকম করেছে। চক্রান্ত করেই এমনটা করা হচ্ছে।’ এর পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগের সুরে বলেন যে, ‘দেউচা পাঁচামি এবং তাজপুর নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার করছে। মানুষকে উস্কানো হচ্ছে।’ মানুষ এই অপপ্রচার মেনে নেবে না বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘বেছে বেছে কাঁথি, ব্যারাকপুর, বহরমপুরে গণ্ডোগোল হচ্ছে। মানুষের উপর ভরসা রাখতে হবে বিরোধী দলগুলিকে। সিপিআইএম এখন দর্শনধারী। কুড়ি বছর কেন, রাম বামেরা পঞ্চাশ বছরেও রাজ্যে আসতে পারবে না।’ তিনি এও মনে করিয়ে দেন যে, ‘তৃণমূল ভদ্রতা করে বলে দুর্বল নয়।’