নবম দশম এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এর মধ্যেই কার্নিভালের দিন তাদের ধর্না মঞ্চকে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ায় সেই বিতর্ক বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। কবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল। এর মধ্যেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানান, "সরকার সব রকম জট খোলার চেষ্টা করছে এসএসসি নিয়োগে প্রস্তুত রয়েছে সরকার।"
প্রায় ৫৭৫ দিন হয়ে গেল ধর্মতলায় ধরনা দিয়েছেন এসএলএসটি নবম-দ্বাদশদের চাকরি প্রার্থীরা। এসএসসিতে দ্রুত নিয়োগ হবে এমনটা আশ্বাস দেওয়া হলেও কবে থেকে সে প্রক্রিয়া শুরু হবে তা নিয়ে কোনও দিশা দেখাতে পারেনি সরকার। এদিকে কার্নিভালের সময় তাদের ধারণা মঞ্চ থেকে উঠে যেতে বলা হলেও নিজেদের আন্দোলনে অনড় ছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। তবে তাদের ধরণা মঞ্চকে কার্নিভালের দিন সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে বেড়েছে বিতর্ক।
এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে বিরোধীদের নিশানা করে কুনাল ঘোষ বলেন, "বিরোধীদের একাংশ চাইছে ধরনা মঞ্চগুলো চলুক। কারণ তাদের আর যাওয়ার জায়গা নেই।" এরপরে তার আরো সংযোজন, "সরকার জট খোলার চেষ্টা করছে। যোগ্য চাকরিপ্রার্থী যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদের যন্ত্রণা সরকার বোঝে। কোথাও কোন ভুল হলে তার সংশোধন করা হচ্ছে। কেউ দোষ করে থাকলে তার তদন্ত হচ্ছে এবং শাস্তিও হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর চান নিয়োগ হোক। এসএসসির ক্ষেত্রে বক্তব্য আদালতকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা আগে নিয়োগ শুরু করতে চাই"।
এদিকে এসএসসিতে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে এই মর্মে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মর্মে সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন। এ প্রসঙ্গে কুনাল ঘোষের কে বলতে শোনা যায়, "বিষয়টি এসএসসি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে আদালতকে। কোন পথে নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে তা আদালতের কাছে ইতিমধ্যেই জানতে চাওয়া হয়েছে। এখন আদালতের নির্দেশের অপেক্ষা করা হচ্ছে"
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মী পূজার দিন দেখা গিয়েছে, ধরনা মঞ্চতেই লক্ষ্মী পুজো করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। একজন চাকরিপ্রার্থী মা লক্ষ্মী সেজে ছিলেন অপর একজন চাকরি প্রার্থী পুরোহিত সেজেছিলেন। ধরনা মঞ্চ থেকেই তারা আক্ষেপের সুরে বলেন, "পাশেই কালকে কার্নিভালের জন্য এত আনন্দ কিন্তু আমাদের ধরনা মঞ্চ টাকে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের প্রশ্ন, "আমরা আর কতদিন এভাবে রাস্তায় পড়ে থাকব"?