আরো ৩০ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি হল অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তাকে। আদালতের তরফে নির্দেশ দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে বুধবার।
এদিকে এদিন নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার ৫৭ দিনের মাথায় মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করলো ইডি। মোট ১০৭ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়েছে এখানে। এই চারশিটে নাম রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী এবং ছেলেরও।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ১০ অক্টোবর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বৃহস্পতিবারই সেই গ্রেফতারির ৬০ দিন পূর্ণ হওয়ার কথা। মানিকের গ্রেফতারির ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বুধবার অর্থাৎ, ৫৭ তম দিনেই সেই চার্জশিট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।
বার্ক কমিটির রিপোর্টেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানিক ভট্টাচার্যের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একাধিকবার মানিককে তলব করা হয়। কিন্তু কখনও আদালতের রক্ষাকবচ দেখিয়ে কখনও আবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে যান মানিক ভট্টাচার্য।এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি হিসাবে নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসাজশ, তাঁকে সুপারিশ পাঠানোর কাজ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, মানিকের ছেলে সৌভিকের ব্যাঙ্ক-লেনদেন নিয়ে জোরাল প্রশ্ন তুলেছেন ইডি-র আধিকারিকরা। কেন বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ থেকে তাঁর ছেলে সংস্থার অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল, তার খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। এদিকে, ১০ অক্টোবর ম্যারাথন জেরার পর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি। সেদিন দুপুর ১ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন মানিক ভট্টাচার্য। সেখানেই সারারাত জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী আধিকারাকিরা।