বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মহম্মদ পয়গম্বর নিয়ে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাও এর ব্যতিক্রম নয়। নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্যে শুরু হয়েছে পথ অবরোধ। এরই মধ্যে আবার শুক্রবার ভরদুপুরে পার্ক সার্কাসে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন এক পুলিশ কর্মী।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশদে জানতে মুখ্যসচিবকে তলব করলেন তিনি। আজই রাত ১০ টার মধ্যেই সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল।
এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকেও বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। এদিন রাজভবনের পক্ষ থেকেই টুইট করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। টুইটে লেখা হয়, ‘শান্তির আশা রাখছি।’ আজ রাত ১০টার মধ্যে মুখ্যসচিবকে তলব করা হয়েছে এবং গতকাল থেকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
মুখ্যসচিবকে রাজ্যপালকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘গতকাল থেকেই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা উদ্বেগজনক হয়েছে পড়়েছে। আজ দু’জনের প্রাণ গিয়েছে। জরুরি আপডেটসের জন্য মুখ্যসচিকে আজ রাত ১০টার মধ্যে তলব করেছি। সরকার আইন-শৃঙ্খলা পুনপ্রতিষ্ঠায় কী পদক্ষেপ করছে তা জানব।’
এদিন টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। পার্ক সার্কাসে গুলি চালানোর ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয় টুইটে। হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেতানেত্রীর আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয় সড়কে একটানা ১১ ঘণ্টা অবরোধের কথাও টুইটে তুলে ধরেন এদিন রাজ্যপাল ধনখড়। তিনি দাবি করেছেন যে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবরোধকারীদের সরাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীকে এর বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও টুইটে বলা হয়েছে।
রাজ্যপাল আরও বলেছেন, ‘গতকাল ১১ ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধের পর রাজ্যে প্রশাসনের যে পদক্ষেপ করা উছিত ছিল তা বাস্তবে দেখা যায়নি। জুম্মার নমাজের শেষে ইমামদের বার্তার পরও আরও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা উঠিত ছিল।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালেই প্রথমে অঙ্কুরহাটিতে অবরোধ করা হয়। এরপরই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। সন্ধের মধ্যে ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এই অবরোধের কারণে বড় সমস্যার মধ্যেই পড়েন নিত্য যাত্রী থেকে শুরু করে সকল মানুষকেই সমস্যায় পড়তে হয়। এদিকে, বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে অবরোধ তোলার অনুরোধ করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করজোড়ে বলেছিলেন, ‘এই যে কিছু রাস্তা অবরোধ হয়েছে। সাধারণ মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে। দিল্লিতে একটা ঘটনা ঘটেছে, আর তারজন্য বাংলাটাকে তছনছ করবে? আমি চাইলে হয়ত পুলিস দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে ওঠাতে পারতাম। কিন্তু আমি সেটা করব না।’ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরেও কাজ যে হয়নি।