বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিধানসভার অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের সময় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। সেই বিভ্রান্তির কথা নিজেই টুইটারে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আগামী ৭ মার্চ রাত ২ টোর সময় অধিবেশন ডাকা হয় বলে টুইট করেন তিনি। যা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় জোর চর্চা।
বৃহস্পতিবারই রাজ্য মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে পাঠানো হয়েছে অধিবেশনের সূচি। সেই সূচি অনুযায়ী, রাত ২ টোর সময় বাজেট অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাজ্যপাল। এদিকে, রাজ্যপালের সেই টুইট দেখে, তাঁকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তেমনটাই জানিয়েছেন। কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন যে, টাইপিংয়ের ভুলের কারণেই এই বিভ্রান্তি বলে রাজ্যপালকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। যদিও রাজ্য বিজেপি এই ঘটনায় খোঁচা দিয়েছে শাসকদলকেই। এর আগে অনেকবার রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে বারবারই সংঘাতের আবহ দেখা দিয়েছে। এবার এই বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালকে ডাকার ক্ষেত্রেও সংঘাত রয়েছে বলেই মনে করছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
যাইহোক সূত্রের খবর, রাজ্যপালকে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী বিভ্রান্তি দূর করেন। তাঁকে ছাপার ভুলের কথা উল্লেখ্য করে সঠিক দিনক্ষণও জানিয়েছেন। যদিও ঘনিষ্ঠমহলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ভুল একেবারেই কাম্য নয়। তবে, রাত ২ টো এবং দুপুর ২ টোর বিষয়টি বুঝে নেওয়া খুব একটা কঠিন ছিল না। পরোক্ষে তিনি রাজ্যপালের উদ্দেশেই এই মন্তব্য যে করেছেন, তাও স্পষ্ট।
এদিন টুইটারে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘রাজ্যপালের টুইট দেখে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ফোন করেন। জানান, এএম শব্দটি টাইপোগ্রাফিকাল ভুল। সর্বত্র পিএম লেখা। এটা বুঝে নিলেই ভাল হত। এদিকে আবার পিএম লিখে প্রস্তাব পাঠাতে মুখ্যমন্ত্রী ২৮/২ মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। প্রশ্ন হল, রাজ্যপাল টুইটে ক্যাবিনেট পেপার প্রকাশ করলেন কী করে? এই নথি প্রকাশ্যে আনার বিধি ও রীতি নেই। রাজ্যপাল সব রীতি ভাঙছেন। সরকারের কাজে বাধা দেওয়া, বাংলার বিরুদ্ধে কুৎসা, নন ইস্যুকে ইস্যু করতে তিনি ব্যস্ত। রাজ্যপালের পদের গরিমা নষ্ট করে বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।’
অন্যদিকে, এদিন রাজ্যপাল মন্ত্রিসভার টুইটে লেখেন, রাত ২ টোয় বিধানসভা অধিবেশন শুরু হওয়ার ঘটনা ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন। কিন্তু, তিনি এও দাবি করেন যে, এটাই মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত। শুধু তাই নয়, কেন রাত ২ টোয় বিধানসভা অধিবেশন ডাকতে চাইছে রাজ্য সরকার, তার জবাবও চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পাশাপাশি মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তার প্রতিলিপিও এ দিন টুইট করেছেন রাজ্যপাল।