বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ তৃণমূল কংগ্রেসের নবগঠিত জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আজ কালীঘাটের এই বৈঠকে ২০ জন সদস্যেরই উপস্থিত থাকার কথা। দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ১২ ফেব্রুয়ারি দলের জাতীয় কর্মসমিতি গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানেই জানানো হয়েছিল যে, আপাতত তৃণমূলের সব সর্বভারতীয় পদ বিলোপ করা হল। নতুনভাবে পদ ঘোষণা করবেন চেয়ারপার্সন। কে কোন পদ পাবেন, অভিষেক বন্দ্যপাধ্যায়কেই বা কোন পদ দেওয়া হবে, এইসব নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে এই মুহূর্তে। সূত্রের খবর, জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকে সদ্য জিতে আসা পুরনিগমগুলির মেয়র, ডেপুটি মেয়র, সম্ভাব্য মেয়র পরিষদের তালিকাও চূড়ান্ত করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বহাল থাকবে কিনা, তা নিয়েও এদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
জানা গিয়েছে, এদিন বৈঠক শুরু হওয়ার কথা বিকেল পাঁচটায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক। দলের অভ্যন্তরে ভোটাভুটির মাধ্যমে চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাতেই সমস্ত কমিটির দায়িত্ব রয়েছে। এরপরেই ১২ তারিখের বৈঠকে দেখা যায়, জাতীয় কর্মসমিতি তৈরি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, আপাতত দলে অন্যান্য কোনও পদ নেই।
এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এক্ষেত্রে তিন-চারটি বিষয় বৈঠকে আলোচনায় উঠতে পারে। সামনেই রয়েছে পুরনির্বাচন। তাকে সামনে রেখেই, দলের ভিতরে কী সিদ্ধান্ত হবে, রণকৌশল ঠিক করা, সঙ্গে নির্দল প্রসঙ্গও রয়েছে। যা ইতিমধ্যেই দলের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করেছেন। এই সমস্যাকে কীভাবে সামলানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে। আপাতত, গোঁজ প্রার্থীদের ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরও কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়েও আজকের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।
অন্যদিকে, চারটি পুরনিগমের ভোট সম্পন্ন হয়েছে। চারটেতেই জয় হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। সেই পুরনিগমের মেয়র ও মেয়র পারিষদ গঠনের প্রক্রিয়া ও তাঁদের নাম ঘোষণা হয় কিনা, সেটাও দেখার। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, জাতীয় কর্মসমিতিতে নতুন কে কী পদ পাচ্ছেন, বিশেষ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন কোন দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছে নেতৃত্ব। পদগুলিকে কীভাবে নেতাদের মধ্যে ভাগ করা হবে, কাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেই বিষয় নিয়েও তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে উৎসাহ চরমে।
বাকি রইল আইপ্যাক। এই মুহূর্তে বাংলার রাজনীতিতে সবথেকে চর্চার বিষয় হল, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে চলেছেন মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক এই মুহূর্তে কোথায় দাঁড়িয়ে, তাঁর একটা স্বচ্ছ আভাস মিলতে পারে এই বৈঠকে। যদিও এখনও পর্যন্ত বিবৃতি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই বিচ্ছেদের প্রসঙ্গে কিছুই বলা হয়নি। এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এদিনের বৈঠকের দিকে তৃণমূলেরই নেতৃত্ব তাকিয়ে থাকছে একটি বিষয় দেখার জন্য। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি দলের ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’-ই থাকছেন, নাকি তাঁর দায়িত্ব আরও বাড়ছে না কমছে!